আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন যারা ॥ বাদ পড়েছেন ৪০ জন, এদের মধ্যে একজন মন্ত্রী ও একজন উপমন্ত্রী

186

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দশম সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার প্রার্থী তালিকায় বড় সর পরিবর্তন এনেছে আওয়ামী লীগ। দলের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করা প্রার্থী তালিকায় দেখা যায়, বাদ পড়েছেন অন্তত ৪২ জন। এর মধ্যে মন্ত্রী একজন। আর উপমন্ত্রী একজন। আবার ১১টি আসনে দুই জন মনো মনোনয়ন রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যেও একাধিক জন বাদ পড়তে পারেন।
তবে বাদ পড়া অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত নির্বাচন করবেন না, এটা আগেই জানিয়েছিলেন। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং বেসামরিক বিমান মন্ত্রী শাহজাহান কামালের আসনে রাখা হয়েছে বিকল্প প্রার্থী।
এবার প্রার্থী তালিকায় চমক দেয়ার যে কথা দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তেমন কোনো চমক নেই প্রার্থী তালিকায়। তারকা বলতে কেবল ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা পেয়েছেন নৌকা প্রতীক।
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ লড়বেন নৌকা নিয়ে। তবে অর্থনীতিবিদ ফরাসউদ্দিনের মনোনয়ন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এই আসনে তার বিকল্প হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্যকেও রাখা হয়েছে।
যারা বাদ পড়েছেন সেখানে অবশ্য চমক আছে। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক মনোনয়ন বঞ্চিত হবেন, এতদিন তার প্রচার ছিল না। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালে তিনি ঢাকা-১৩ আসন থেকে নৌকা নিয়ে লড়েছেন।
তবে ফরিদপুর-১ আসনে আবদুর রহমানের বাদ পড়ে যাওয়া নিয়ে গত কয়েক মাস ধরেই বলাবলি হচ্ছিল।
বাদ পড়েছেন দুই জন সাংগঠনিক সম্পাদকও। মনোনয়ন পাননি বিএম মোজাম্মেল হক এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
রবিবার সকাল থেকে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রার্থীদের মধ্যে মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হয়। তবে সে সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়ে দেন, এই মনোনয়ন চূড়ান্ত নয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আজ দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। যাদেরকে মনোনয়নপত্র দেয়া হয়েছে, সেখান থেকেও কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন।
যেসব আমনে মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে তার মধ্যে ১১টি আসনে দুই জনকে দেয়া হয়েছে মনোনয়নপত্র। একজন করতে না পারলে বিকল্প হিসেবে রাখা অন্যজন হবেন দলের প্রার্থী।
আবার যে ৫৫টি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে, তার সবগুলো যে জোটের শরিকদের দেয়া হবে, এটিও নিশ্চিত নয়। যদিও এর সিংহভাগ আসনই শরিকরা পাচ্ছে এটা নিশ্চিত।
যেসব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, তার ছয়টিতে বর্তমানে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রয়েছে। ২০১৪ সালে এসব আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দেয়নি। তবে এবার আর ছাড় দিতে নারাজ। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের পটুয়াখালী-১ এবং সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর চট্টগ্রাম-৯ও আছে।
রংপুর বিভাগ :
এই বিভাগের আট জেলার ৩৩টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ঘোষণা করেছে ২১টিতে।
পঞ্চগড়ের দুটি আসনের মধ্যে একটি রেখেছে আওয়ামী লীগ। নূরুল ইসলাম সুজন লড়বেন পঞ্চগড়-২ আসনে।
ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনের মধ্যে রমেশ চন্দ্র সেন ঠাকুরগাঁও-১ এবং দবিরুল ইসলাম ঠাকুরগাঁও-২ আসনে লড়বেন।
দিনাজপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে প্রতিটিতেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এদের মধ্যে মনোরঞ্জন শীল গোপাল দিনাজপুর-১, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দিনাজপুর-২, ইকবালুর রহিম দিনাজপুর-৩, আবুল হাসান মাহমুদ আলী দিনাজপুর-৪, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দিনাজপুর-৫ এবং শিবলী সাদিক দিনাজপুর-৬ আসনে লড়বেন।
নীলফামারীর চারটি আসনের মধ্যে দুটিতে লড়বে আওয়ামী লীগ। প্রার্থীরা হলেন আফতাব উদ্দিন সরকার (নীলফামারী-১) ও আসাদুজ্জামান নূর (নীলফামারী-২)।
লালমনিরহাটের তিনটির মধ্যে দুটিতে থাকবে নৌকার প্রার্থী। এরা হলেন: মোতাহার হোসেন (লালমনিরহাট-১) ও নুরুজ্জামান আহমেদ (লালমনিরহাট-২)।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নিজ জেলা রংপুরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতেই থাকছে নৌকার প্রার্থী। এরা হলেন: আবুল কালাম মো. আহ্সানুল হক চৌধুরী (রংপুর-২), টিপু মুনশি (রংপুর-৪), এইচ এন আশিকুর রহমান (রংপুর-৫), শেখ হাসিনা (রংপুর-৬)।
গাইবান্ধার পাঁচটি আসনের মধ্যে একটিতে প্রার্থী রাখেনি আওয়ামী লীগ। বাকি চারটিতে লড়বেন যথাক্রমে মাহাবুব আরা বেগম গিনি (গাইবান্ধা-২), ইউনুস আলী সরকার (গাইবান্ধা-৩), মনোয়ার হোসেন চৌধুরী (গাইবান্ধা-৪) এবং ফজলে রাব্বী মিয়া (গাইবান্ধা-৫)।
রাজশাহী বিভাগ :
এই বিভাগের আট জেলার ৩৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ নিজের জন্য রেখেছে ৩৩টি আসন।
জয়পুরহাটের দুটি আসনেই নিজের প্রার্থী দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সামছুল আলম দুদু জয়পুরহাট-১ এবং আবু সাঈদ আল মাহ্মুদ স্বপন জয়পুরহাট-২ আসনে লড়বেন।
বগুড়ায় ছয়টি আসনের মধ্যে দুটিতে থাকছে নৌকার প্রার্থী। এরা হলেন: আব্দুল মান্নান (বগুড়া-১)ও হাবিবুর রহমান (বগুড়া-৫)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে শামিলউদ্দিন আহমেদ শিমুল চাপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে লড়বেন জিয়াউর রহমান এবং আব্দুল ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩)।
নওগাঁর ছয়টি আসনের প্রতিটিতেই থাকছে নৌকার প্রার্থী। এরা হলেন সাধন চন্দ্র মজুমদার (নওগাঁ-১), শহীদুজ্জামান সরকার (নওগাঁ-২), ছলিমউদ্দিন তরফদার (নওগাঁ-৩), ইমাজউদ্দিন প্রামাণিক (নওগাঁ-৪) নিজামউদ্দিন জলিল জন (নওগাঁ-৫), ইসরাফিল আলম (নওগাঁ-৬)।
রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী রেখেছে আওয়ামী লীগ। এরা হলেন: ওমর ফারুক চৌধুরী (রাজশাহী-১), আয়েন উদ্দিন (রাজশাহী-৩), এনামুল হক (রাজশাহী-৪), মনসুর রহমান (রাজশাহী-৫) শাহ্রিয়ার আলম (রাজশাহী-৬)।
নাটোরের চারটি আসনের চারটিতে প্রার্থী রেখেছে আওয়ামী লীগ। এরা হলেন: শহীদুল ইসলাম বকুল (নাটোর-১), শফিকুল ইসলাম শিমুল (নাটোর-২), জুনাইদ আহ্মেদ পলক (নাটোর-৩), আব্দুল কুদ্দুস (নাটোর-৪)।
সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনের প্রতিটিতেই প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরা হলেন: মোহাম্মদ নাসিম (সিরাজগঞ্জ-১), হাবিবে মিল্লাত (সিরাজগঞ্জ-২), মোহাম্মদ আজিজ (সিরাজগঞ্জ-৩), তানভীর ইমাম (সিরাজগঞ্জ-৪), আবদুল মজিদ ম-ল (সিরাজগঞ্জ-৫), হাসিবুর রহমান স্বপন (সিরাজগঞ্জ-৬)।
পাবনাতেও পাঁচটি আসনেই থাকছে নৌকার প্রার্থী। নেতারা হলেন: শামসুল হক টুকু (পাবনা-১), আহমেদ ফিরোজ কবির (পাবনা-২ ), মকবুল হোসেন (পাবনা-৩), শামসুর রহমান শরীফ (পাবনা-৪), গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স (পাবনা-৫)।
খুলনা বিভাগ :
এই বিভাগের ১০ জেলার ৩৬টি আসনের মধ্যে ৩৩টিতেই প্রার্থী রেখেছে আওয়ামী লীগ।
মেহেরপুরের দুটি আসনের মধ্যে ফরহাদ হোসেন দোদুল (মেহেরপুর-১) এবং সহিদুজ্জামান খোকন (মেহেরপুর-২) লেেড়বন নৌকা নিয়ে।
কুষ্টিয়ার চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই প্রার্থী রেখেছে আওয়ামী লীগ। এরা হলেন সরোয়ার জাহান বাদশা (কুষ্টিয়া-১), মাহবুবউল আলম হানিফ (কুষ্টিয়া-৩) এবং সেলিম আলতাফ জর্জ (কুষ্টিয়া-৪) ।
চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনেই থাকছে নৌকার প্রার্থী। এরা হলেন: সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন)-চুয়াডাংগা-১, আলী আজগার টগর (চুয়াডাংগা-২)।
ঝিনাইদহের চারটি আসনেই প্রার্থী দেয়া হয়েছে। লড়বেন যথাক্রমে আব্দুল হাই (ঝিনাইদহ-১), তাহজীব আলম (ঝিনাইদহ-২), শফিকুল আজম খান (ঝিনাইদহ-৩) এবং আনোয়ারুল আজিম আনার (ঝিনাইদহ-৪)।
যশোরের ছয়টি আসনের একটিও ফাঁকা রাখেনি আওয়ামী লীগ। লড়বেন যথাক্রমে শেখ আফিল উদ্দিন (যশোর-১), নাসির উদ্দিন (যশোর-২), কাজী নাবিল আহমেদ (যশোর-৩), রণজিত কুমার রায় (যশোর-৪), স্বপন ভট্টাচার্য্য (যশোর-৫) এবং ইসমাত আরা সাদেক (যশোর-৬)।
মাগুরার দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা হলেন : সাইফুজ্জামান শিখর (মাগুরা-১) এবং শ্রী বীরেন শিকদার (মাগুরা-২)।
নড়াইলের দুটি আসনের মধ্যে লড়বেন মাশরাফি বিন মুর্তজা নড়াইল-২ আসনে। অপর আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছে।
বাগেরহাটের চারটি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা হলেন: শেখ হেলাল উদ্দীন (বাগেরহাট-১), শেখ সারহাম নাসের তন্ময় (বাগেরহাট-২), হাবিবুন নাহার (বাগেরহাট-৩) এবং মোজাম্মেল হোসেন (বাগেরহাট-৪)।
খুলনায় শরিকদের জন্য একটি আসনও ছাড়া হয়নি। লড়বেন: পঞ্চানন বিশ্বাস (খুলনা-১), শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল (খুলনা-২), বেগম মন্নুজান সুফিয়ান (খুলনা-৩), সালাম মুশের্দী (খুলনা-৪), নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (খুলনা-৫) এবং আখতারুজ্জামান বাবু (খুলনা-৬)।
সাতক্ষীরার চারটি আসনের মধ্যে একটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেখানে নৌকা নিয়ে লড়বেন মীর মোস্তাক আহমেদ রবি (সাতক্ষীরা-২), আ ফ ম রুহুল হক (সাতক্ষীরা-৩), এস এম জগলুল হায়দার (সাতক্ষীরা-৪)।
বরিশাল বিভাগ :
এই বিভাগের পাঁচ জেলার ২০টি আসনের মধ্যে ১৬টিতেই প্রার্থী রেখেছে আওয়ামী লীগ।
বরগুনায় দুটি আসনে লড়বেন ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু (বরগুনা-১), শওকত হাচানুর রহমান (বরগুনা-২)।
পটুয়াখালীর চারটি আসনে প্রার্থীরা হলেন শাহজাহান মজুমদার (পটুয়াখালী-১), শামসুল হক রেজা/আ স ম ফিরোজ (পটুয়াখালী-২), এসএম শাহাজাদা (পটুয়াখালী-৩) এবং মুহিবুর রহমান মুহিব (পটুয়াখালী-৪)।
ভোলার চারটি আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তোফায়েল আহমেদ (ভোলা-১), আলী আজম মুকুল (ভোলা-২), নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন (ভোলা-৩), আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব (ভোলা-৪)।
বরিশালের ছয়টি আসনের দুইটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। অন্য প্রার্থীরা হলেন: আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ (বরিশাল-১), তালুকদার মো. ইউনুস (বরিশাল-২), পংকজ নাথ (বরিশাল-৪), বেগম জেবুন্নেছা আফরোজ/ জাহিদ ফারুক (বরিশাল-৫)।
ঝালকাঠির দুটি আসনে প্রার্থীরা হলেন বজলুল হক হারুন (ঝালকাঠি-১) এবং আমির হোসেন আমু (ঝালকাঠি-২)।
পিরোজপুরের তিনটির মধ্যে দুটিই ফাঁকা রাখা হয়েছে। শ ম রেজাউল করিম পিরোজপুর-১ আসনে।
ময়মনসিংহ বিভাগ :
এই বিভাগের চার জেলার ২৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে পাঁচটিতে প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ময়মনসিংহেই ফাঁকা রাখা হয়েছে চারটি। বাকিগুলোতে লড়বেন যথাক্রমে: জুয়েল আরেং (ময়মনসিংহ-১), শরীফ আহম্মদ (ময়মনসিংহ-২), মোসলেম উদ্দিন (ময়মনসিংহ-৬), রুহুল আমিন মাদানী (ময়মনসিংহ-৭), আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন (ময়মনসিংহ-৯), ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল (ময়মনসিংহ-১০), তাজিমউদ্দিন আহমেদ ধনু (ময়মনসিংহ ১১)।
জামালপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটিতে লড়বেন আবুল কালাম আজাদ/নূর মোহাম্মদ (জামালপুর-১), মির্জা আজম (জামালপুর-৩), মুরাদ হাসান (জামালপুর-৪), রেজাউল করিম হীরা/ মোজাফফর হোসেন (জামালপুর-৫)।
শেরপুরের তিনটি আসনে লড়বেন আতিউর রহমান আতিক (শেরপুর-১), বেগম মতিয়া চৌধুরী (শেরপুর-২), এ কে এম ফজলুল হক চান (শেরপুর-৩)।
নেত্রকোণার পাঁচটি আসনে প্রার্থীরা হলেন মানু মজুমদার (নেত্রকোণা-১), আসরাফ আলী খান খসরু (নেত্রকোণা-২), অসীম কুমার উকিল (নেত্রকোণা-৩), বেগম রেবেকা মোমিন (নেত্রকোণা-৪), ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (নেত্রকোণা-৫)।
ঢাকা বিভাগ :
এই বিভাগের ১৩টি জেলার ৬৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ফাঁকা রেখেছে আটটি।
টাঙ্গাইলের আটটি আসনে প্রার্থীরা হলেন: আব্দুর রাজ্জাক (টাঙ্গাইল-১), তানভীর হাসান ছোট মনির (টাঙ্গাইল-২) আতাউর রহমান খান (টাঙ্গাইল-৩), হাছান ইমাম খাঁন (টাঙ্গাইল-৪), ছানোয়ার হোসেন (টাঙ্গাইল-৫), আহসানুল ইসলাম টিটু (টাঙ্গাইল-৬), একাব্বর হোসেন (টাঙ্গাইল-৭), জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের (টাঙ্গাইল-৮)
কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের পাঁচটিতে প্রার্থী দেয়া হয়েছে। এরা হলেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম/মশিউর রহমান হুমায়ুন (কিশোরগঞ্জ-১), নূর মোহাম্মদ (কিশোরগঞ্জ-২), রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক (কিশোরগঞ্জ-৪), আফজাল হোসেন (কিশোরগঞ্জ-৫), এবং নাজমুল হাসান পাপন (কিশোরগঞ্জ-৬)।
মানিকগঞ্জের তিনটি আসনে প্রার্থীরা হলেন: এ এম নাঈমুর রহমান (মানিকগঞ্জ-১), মমতাজ বেগম (মানিকগঞ্জ-২) এবং জাহিদ মালেক স্বপন (মানিকগঞ্জ-৩)।
মুন্সিগঞ্জের তিনটি আসনের একটি রাখা হয়েছে ফাঁকা। বাকি দুটিতে প্রার্থীরা হলেন বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন (মুন্সিগঞ্জ-২) এবং মৃনাল কান্তি দাস (মুন্সিগঞ্জ-৩)।
ঢাকার ২০টি আসনের মধ্যে তিনটি আসন ফাঁকা রাখা হয়েছে। বাকিগুলোতে লড়বেন: সালমান এফ রহমান (ঢাকা-১), কামরুল ইসলাম (ঢাকা-২), নসরুল হামিদ (ঢাকা-৩), হাবিবুর রহমান মোল্লা/মিজানুর রহমান মনু (ঢাকা-৫), হাজী মো. সেলিম/আবুল হাসনাত (ঢাকা-৭), সাবের হোসেন চৌধুরী (ঢাকা-৯), শেখ ফজলে নূর তাপস (ঢাকা-১০), এ কে এম রহমতুল্লাহ (ঢাকা-১১), আসাদুজ্জামান খাঁন (ঢাকা-১২), সাদেক খান (ঢাকা-১৩), আসলামুল হক ঢাকা-(১৪), কামাল আহমেদ মজুমদার (ঢাকা-১৫), ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ (ঢাকা-১৬ ), আকবর হোসেন পাঠান (নায়ক ফারুক) (ঢাকা-১৭), সাহারা খাতুন (ঢাকা-১৮), এনামুর রহমান (ঢাকা-১৯) এবং বেনজীর আহমেদ (ঢাকা-২০)।
গাজীপুরের পাঁচটি আসনে প্রার্থীরা হলেন: আ ক ম মোজাম্মেল হক (গাজীপুর-১), জাহিদ আহসান রাসেল (গাজীপুর-২), ইকবাল হোসেন সবুজ (গাজীপুর-৩), সিমিন হোসেন রিমি (গাজীপুর-৪) এবং মেহের আফরোজ (গাজীপুর-৫)।
নরসিংদীর পাঁচটি আসনে প্রার্থীরা হলেন নজরুল ইসলাম (নরসিংদী-১), আনোয়ারুল আশরাফ খান (নরসিংদী-২), সিরাজুল ইসলাম মোল্লা/ জহিরুল হক ভূঁইয়া মোহন (নরসিংদী-৩), নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন (নরসিংদী-৪) এবং রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু (নরসিংদী-৫)।
নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের মধ্যে ফাঁকা দুটি। এরা হলেন: গোলাম দস্তগীর গাজী (নারায়ণগঞ্জ-১), নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-২), শামীম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৪)।
রাজবাড়ীর দুটি আসনে প্রার্থীরা হলেন: কাজী কেরামত আলী (রাজবাড়ী-১) ও জিল্লুল হাকিম (রাজবাড়ী-২)।
ফরিদপুরের চারটি আসনের মধ্যে ফাঁকা একটি। বাকিগুলোতে প্রার্থীরা হলেন: মঞ্জুর হোসেন বুলবুল (ফরিদপুর-১), খন্দকার মোশাররফ হোসেন (ফরিদপুর-৩) এবং কাজী জাফরউল্লাহ (ফরিদপুর-৪)।
গোপালগঞ্জের তিনটিতে প্রার্থীরা হলেন ফারুক খান (গোপালগঞ্জ-১), শেখ ফজলুল করিম সেলিম (গোপালগঞ্জ-২), শেখ হাসিনা (গোপালগঞ্জ-৩)।
মাদারীপুরের তিনটি আসনে প্রার্থীরা হলেন নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১), শাজাহান খান (মাদারীপুর-২), আবদুস সোবহান গোলাপ (মাদারীপুর-৩)।
শরীয়তপুরের তিনটি আসনে প্রার্থীরা হলেন: ইকবাল হোসেন অপু (শরীয়তপুর-১), এ কে এম এনামুল হক শামীম (শরীয়তপুর-২), নাহিম রাজ্জাক (শরীয়তপুর-৩)।
সিলেট বিভাগ :
এই বিভাগের চার জেলার ১৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে ১৪টি আসনে। ফাঁকা রাখা হয়েছে পাঁচটি।
সুনামগঞ্জের পাঁচটির মধ্যে চারটিতে প্রার্থী করা হয়েছে। প্রার্থী হয়েছেন: মোয়াজ্জেম হোসেন রতন (সুনামগঞ্জ-১), জয়া সেনগুপ্ত (সুনামগঞ্জ-২), এম এ মান্নান (সুনামগঞ্জ-৩) এবং মুহিবুর রহমান মানিক (সুনামগঞ্জ-৫)।
সিলেটের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে দেয়া হয়েছে প্রার্থী। এরা হলেন: এ কে এম আব্দুল মোমেন (সিলেট-১), মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী (সিলেট-৩), ইমরান আহমদ (সিলেট-৪) এবং নুরুল ইসলাম নাহিদ (সিলেট-৬)।
মৌলভীবাজারেও ফাঁকা রাখা হয়েছে একটি আসন। বাকিগুলোতে প্রার্থী শাহাব উদ্দিন (মৌলভীবাজার-১), নেসার আহম্মেদ (মৌলভীবাজার-৩) এবং আব্দুস শহীদ (মৌলভীবাজার-৪)।
হবিগঞ্জের চারটি আসনের মধ্যে প্রার্থী করা হয়েছে তিনটিতে। এরা হলেন: আব্দুল মজিদ খান (হবিগঞ্জ-২), আবু জাহির (হবিগঞ্জ-৩) এবং ফরাসউদ্দিন/মাহবুব আলী (হবিগঞ্জ-৪)।
চট্টগ্রাম বিভাগ
এই বিভাগের ১১ জেলার ৫৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ফাঁকা রেখেছে ১২টি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে থাকছে নৌকার প্রার্থী। এরা হলেন: বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১), র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩), আনিসুল হক (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), এবাদুল করিম বুলবুল (ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৫), এ বি তাজুল ইসলাম (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬)।
কুমিল্লার ১১টি আসনের মধ্যে ১০টিতেই দেয়া হয়েছে নৌকার প্রার্থী। এরা হলেন: সুবিদ আলী ভূঁইয়া (কুমিল্লা-১), সেলিনা আহম্মেদ মেরি (কুমিল্লা-২), ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন (কুমিল্লা-৩), রাজী মোহাম্মদ ফখরুল (কুমিল্লা-৪), আব্দুল মতিন খসরু (কুমিল্লা-৫), আ ক ম বাহাউদ্দিন (কুমিল্লা-৬), আলী আশরাফ (কুমিল্লা-৭), তাজুল ইসলাম (কুমিল্লা-৯), আ হ ম মুস্তফা কামাল (কুমিল্লা-১০) এবং মুজিবুল হক (কুমিল্লা-১১)।
চাঁদপুরের পাঁচটির মধ্যে ফাঁকা একটি। প্রার্থীরা হলেন: মহিউদ্দীন খান আলমগীর/গোলাম রহমান (চাঁদপুর-১), মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (চাঁদপুর-২), দীপু মনি (চাঁদপুর-৩), শামছুল হক ভূঁইয়া (চাঁদপুর-৪)।
ফেনীর তিনটি আসনের দুটি ফাঁকা। নিজাম উদ্দিন হাজারী লড়বেন ফেনী-২ আসনে।
নোয়াখালীর ছয়টি আসনে লড়বেন এইচ এম ইব্রাহিম (নোয়াখালী-১), মোরশেদ আলম (নোয়াখালী-২), মামুনুর রশীদ কিরন (নোয়াখালী-৩), একরামুল করিম চৌধুরী (নোয়াখালী-৪), ওবায়দুল কাদের (নোয়াখালী-৫) এবং বেগম আয়েশা ফেরদাউস (নোয়াখালী-৬)।
লক্ষ্মীপুরের চারটি আসনের মধ্যে এ কে এম শাহজাহান কামাল/গোলাম ফারুক (লক্ষ্মীপুর-৩) এবং মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (লক্ষ্মীপুর-৪) আসনে প্রার্থী হবেন।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ফাঁকা চারটি। মোশাররফ হোসেন (চট্টগ্রাম-১), মাহফুজুর রহমান মিতা (চট্টগ্রাম-৩), দিদারুল আলম (চট্টগ্রাম-৪), এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-৬), হাছান মাহমুদ (চট্টগ্রাম-৭), মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (চট্টগ্রাম-৯), আফসারুল আমিন (চট্টগ্রাম-১০), এম এ লতিফ (চট্টগ্রাম-১১), সামশুল হক চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১২), সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ (চট্টগ্রাম-১৩), নজরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৪), আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী (চট্টগ্রাম-১৫)।
কক্সবাজারের চারটি আসনেই রাখা হয়েছে প্রার্থী। এরা হলেন: জাফর আলম (কক্সবাজার-১), আশেক উল্লাহ রফিক (কক্সবাজার-২), সাইমুম সরওয়ার কমল (কক্সবাজার-৩) এবং শাহিনা আক্তার চৌধুরী (কক্সবাজার-৪)
পার্বত্য খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, পার্বত্য বান্দরবানে বীর বাহাদুর উশৈ সিং দলের মনোনয়ন পেয়েছেন। রাঙামাটিতে প্রার্থী করা হয়েছে দীপঙ্কর তালুকদারকে।