বিনা কারণে কেউ গ্রেফতার হচ্ছে না, পুলিশ নির্দেশ মেনে চলছে —————— সিইসি

30

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিনা কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করছে না বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। বলেছেন, পুলিশ তাদের নির্দেশনা মেনে চলছে।
শনিবার আগারগাঁয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি। এর আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি। তবে সেখানে সাংবাদিকদের থাকতে দেয়া হয়নি।
বিএনপি অভিযোগ করছে নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই এবং প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনী ইসির কথা মানছে না। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। পুলিশ আমাদের কথা মান্য করে। আমাদের কথার বাইরে বিনা কারণে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করে না, করছে না।’
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নে বলেন, ‘পারব, পারব, নিয়ন্ত্রণে আছে। সেদিনও আমরা সব পুলিশকে (পুলিশের র্ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) ডেকেছি। তারা এসেছে না? আমাদের নির্দেশনা নিয়েছেন। আমাদের নির্দেশনা অনুসারে কাজ করবে কথা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা সেটা করে যাচ্ছে। ’
‘সরকারের কোনো নির্দেশ নেই এখানে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে আমাদের নির্দেশ মাঠে যায় এবং সেটাই প্রতিফলিত হয়।’
অন্য এক প্রশ্নে সিইসি জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের আচরণ বিধিমালা, দ-বিধি, আইনের বিভিন্ন ধারা উপধারার বিষয়ে ব্রিফিং করা হয়েছে। তারা যেন সহায়ক শক্তি হিসেব দায়িত্ব পালন করে, এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘সাংবাদিকদের থাকতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত ভুল’
এই ব্রিফিং থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের বের করে দেয়ার সিদ্ধান্তটি সঠিক হয়নি বলেও স্বীকার করেন সিইসি। বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের অনুষ্ঠানের প্রথম অংশজুড়ে থাকতে দিলে ভালো হতো। আগামীকালও (আজ) একই ধরনের বৈঠক আছে। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের থাকতে দেওয়া হবে।’
এর আগে সকাল ১০টায় নির্বাচন ভবনের মিলনায়তকে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ে ‘রুদ্ধদ্বার’ বৈঠকে বসে ইসি। সভাপতিত্ব করেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন সিইসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন চার কমিশনার মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী।
ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জ, শেরপুরসহ কয়েকটি জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা এতে যোগ দেন। রবি এবং সোমবারও এ সংক্রান্ত বৈঠক রয়েছে।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনিস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুক স্বাগত বক্তব্য দেন। এর পরই গণমাধ্যম কর্মীদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়।
সাধারণত এসব বৈঠকে সিইসির বক্তব্য পর্যন্ত গণমাধ্যম কর্মীরা সভাতেই থাকেন। আর এর ব্যত্যয় ঘটিয়ে এই সিদ্ধান্ত ক্ষুব্ধ করেছে সাংবাদিকদের।
এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সভাসহ সব ব্রিফিংয়ে সিইসি ও ইসি সচিবের বক্তব্য ধারণ করতে পেরেছে গণমাধ্যম কর্মীরা।