বাসস’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের মৃত্যু

44

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদক (এমই) শাহরিয়ার শহীদ শনিবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
শাহরিয়ার শহীদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৪ নভেম্বর নগরীর এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন এবং করনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি খ্যাতিমান সাংবাদিক ও অধুনালুপ্ত ইংরেজি দৈনিক বাংলাদেশ টাইমস’র সম্পাদক মরহুম একেএম শহিদুল হকের ছেলে।
তার মরদেহ সোমবার (১৯ নভেম্বর) পর্যন্ত এ্যাপোলো হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হবে। একই দিনে শাহরিয়ার শহীদের লাশের কফিন তার কর্মস্থল বাসস, জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটে আনা হবে। তার দুই বোন বিদেশ থেকে দেশে ফেরার পর তার দাফনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য শাহরিয়ার শহীদ বহুবিধ প্রতিভার অধিকারি ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বেশ ক’টি প্রামাণ্য চিত্র নির্মাণ করেছেন।
কর্মজীবনেও রিপোর্টার হিসেবে শাহরিয়ার শহীদ রাজনৈতিক বিটসহ বিভিন্ন বিটে কাজ করেছেন। একসময় তিনি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের স্ট্রিংগার ছিলেন। তিনি অঞ্চলভিত্তিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাৎকারভিত্তিক ৩০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
অর্থমন্ত্রীর শোক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক, বিশিষ্ট সংবাদিক শাহরিয়ার শহীদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এমপি। এক শোকবার্তায় অর্থমন্ত্রী গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি সমাবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, শাহরিয়ার শহীদ ঐতিহ্যগতভাবে সাংবাদিক পরিবারের সন্তান ও একজন গুণী সাংবাদিক। তার মৃত্যুতে সৃষ্ট শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।
ড. মোমেনের শোক : অপর এক শোক বার্তায় জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. একে আব্দুল মোমেন বাসস-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শাহরিয়ার শহীদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
বাসস ব্যুরো প্রধানের শোক : শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) সিলেট ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদ। পৃথক শোকবার্তায় তিনি বলেন, শাহরিয়ার শহীদ ছিলেন আমাদের অভিভাবক। তাঁর জ্ঞানগর্ভ দিকনির্দেশনা ও পরামর্শ আমাদের পেশাগত উন্নয়ন এবং পথচলায় সহায়ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি, মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। বিজ্ঞপ্তি