জগন্নাথপুরের জামালপুরে অবশেষে ফিরে এসেছে শান্তি

19

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে অবশেষে শান্তি ফিরে এসেছে। টানা কয়েক দিনের টানটান উত্তেজনার অবসান হয়েছে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হওয়াতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানা গেছে, জামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি গঠন নিয়ে জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ইউনিয়ন আ’লীগের অর্থ সম্পাদক খসরু মিয়া এবং বিএনপি নেতা সুহেল খান টুনুর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এর মধ্যে সুহেল খান টুনুর চাচাতো ভাই ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির মিয়া স্থানীয় ধাওরাই বাজারের সড়কের পাশে সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন। এতে প্রতিবাদী হয়ে উঠেন খসরু মিয়ার ভাই কাওছার মিয়া। এ নিয়ে গত প্রায় এক মাস আগে কাওছার মিয়া জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের আলোকে স্থানীয় তপশিল অফিসের সরকারি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় সাব্বির পক্ষের হামলায় প্রতিবাদী যুবক কাওছার মিয়া সহ ৩ জন আহত হন। এ ঘটনায় আহত কাওছার মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের সাব্বির মিয়া সহ ১১ জনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা করেন।
এদিকে-ঘটনাটি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তি না হওয়ায় পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে। অবশেষে ৫ নভেম্বর সোমবার জগন্নাথপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু এবং উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি ও পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক সহ দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে দুই পক্ষের সম্মতিতে সমঝোতায় বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে এলাকায় স্বস্তি ফিরে আসে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাটলি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বলেন, এ ঘটনাটি সামাজিকভাবে নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।