সিএনজি অটোরিক্সা চালক খুনের ঘটনায় ॥ একজনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী, লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর

61

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর ওসমানী মেডিকেল রোড এলাকায় অটোরিক্সা চালক নয়ন মিয়া উরফে ময়না (৩৪) খুনের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সকালে তাদের আটক করা হয়। নয়ন নগরীর কাজী জালালউদ্দিন এলাকার এফ-১০৯ বাসার আইন উদ্দিনের পুত্র। তিনি সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
আটককৃতরা হচ্ছে- মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আব্দুল মনাফ, ১১ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী হাবিবুর রহমান (২০)। ধৃত হাবিব সুনামগঞ্জ জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার পিঠাপই গ্রামের আশক আলীর পুত্র। বর্তমানে হাবিব বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল সোমবার পুলিশ আটক হাবিবুর রহমানকে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আমলী দ্বিতীয়) আদালতে হাজির করে। এ সময় সে ওই আদালতে বিকেল সাড়ে ৩ টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে ৬ টায় পর্যন্ত প্রায় ৩ ঘন্টা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। তার জবানবন্দী রেকর্ড করেন আদালতের বিচারক মো: মামুনুর রহমান সিদ্দিকী। পরে পুলিশ হাবিবকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার জিআরও এসআই নিহার।
এর আগে হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী পারভিন বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৪ (০৫-১১-১৮)।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূরে আলম জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে ঘাতক হাবিব। অটোরিক্সা চালক ময়না মিয়ার পা’সহ শরীরের একাধিকস্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম মিয়া আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটকদের মধ্যে হাবিবের দেখানো মতে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাকে আদালতে হাজির করা উল্লেখিত অদালতে সে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে। সন্ধ্যার দিকে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তিনি বলেন, এছাড়া আটক হওয়া অন্য ২ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
ওসি সেলিম মিয়া আরো জানান, নিহত লোকটি নিজের মালিকানা অটোরিকশা চালাতেন। মূলত গ্র“পিংয়ের কারণে তাকে খুন করা হয়। পুলিশ নিহতের ময়না তদন্ত শেষে গতকাল সোমবার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত ১১টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন নবাব রোডের মোড়ে ফুলকুলির শো-রুমের সামনে সিএনজি অটোরিকশাচালক নয়নকে ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়।