গোলাপগঞ্জে গরুচোর আটক

49

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জের গরুচোর মলিক মিয়া (৪০) কে গভীর রাতে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) দেলোয়ার হোসেন ও এসআই মহিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তার নিজ এলাকা থেকে তাকে আটক করেন। সে উপজেলার বুধবারীবাজার ইউপির চন্দরপুর গ্রামের মনোফর আলীর ছেলে। ওই গরুচোরকে আটকের পর গতকাল বুধবার গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় গরু চুরির মামলা করেছেন উপজেলার বুধবারীবাজার ইউপির চন্দরপুর গ্রামের মৃত মকবর আলীর ছেলে দুলাল উদ্দিন (৫০)। তিনি অভিযোগে উল্লেখ করেন, চলতি বছরের ৮ মেয়ে তার ৮০হাজার টাকা মূল্যের ষাড় গরু নিজ বাড়ীর গোয়ালঘর থেকে তার ৩ সহযোগীদের চুরি করে। ভাগ্যক্রমে ওই রাতে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বাড়ীতে ফেরার পথে দেখতে পান। এ সময় তারা ওই লোককে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে পিক’আপে করে গরু নিয়ে পালিয়ে যায়। পরেরদিন সকালে গরুর মালিক খবর পান। পরে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর আর কোন উপায় না পেয়ে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টাও করে গরু চোর মলিক। এতে কোন কাজ না হওয়ায় সে এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে যায়। এর আগে ওই এলাকায় আরো ৭টি গরু চুরি হয়। এমনকি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায়ও তার বিরুদ্ধে গরু চুরির অভিযোগ রয়েছে। এজাহারে উল্লেখ করা হয় বড়লেখা থানার দাশের বাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়ী হইতে ৪টি গরু চুরি করে তাহার বসত ঘরে রাখে।
তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য স্থানীয় বুধবারীবাজার ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বেশ কয়েকবার বৈটকও হয়েছে। বুধবারীবাজার ইউপি চন্দরপুর ওয়ার্ডের মেম্বারের সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, বড়লেখা থানার দাশের বাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান কমর উদ্দিনের ৪টি গরু চুরি করে তার বাড়ীতে এনে রাখে। খবর পেয়ে ওই চেয়ারম্যান তার ৪টি গরু নিয়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গরু চুরির অনেক তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের সার্থে বলা যাচ্ছে না। এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,আটকের পর তার কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া গেছে।