কীনব্রীজ দিয়ে সরকারি গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

28

কাজিরবাজার ডেস্ক :
নগরীর ব্যস্ততম এলাকা কীনব্রীজের উপর দিয়ে সরকারি যানবাহন চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। শহরকে ভাগ করে বয়ে চলা সুরমা নদীর উপর স্থাপিত জনগুরুত্বপূর্ণ সেতু কীনব্রীজ। দিনের বেশির ভাগ সময় ব্রিজের গোড়ার দু প্রান্তে দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে মানুষের জরুরি কাজের ব্যাঘাত ঘটে নষ্ট হয় মূল্যবান কর্ম ঘন্টা। মানুষের ভিড়ে পকেটমার টাকা মোবাইল নিয়ে চম্পট দেয়ার অভিযোগ বিস্তর।
এ সবের প্রেক্ষিতে সব ধরনের মোটরযান ব্রিজের উপর দিয়ে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করার দাবি জানিয়ে আসছেন দক্ষিণ সুরমা বাসি। গত ১৪ অক্টোবর দক্ষিণ সুরমা থানা চত্বরে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং সমাবেশেও জোড়ালো দাবি উঠে। দাবি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার দৃষ্টিগোচর হয়। বক্তৃতায় সে সময় কমিশনার ট্রাফিক ডিসিকে নির্দেশ দেবেন বলে উল্লেখ করেণ। তার কথা ও কাজের মিল পাওয়া যায়।
কয়েকদিন পর সরকারি গাড়ি ব্রীজ দিয়ে চলাচলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসে। গতকাল সরজমিন ঘুরে তার প্রমাণও পাওয়া যায়। কীনব্রীজের উপর দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর গাড়ি যেতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশ বাধা প্রদান করে। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা বিনয়ের সাথে কথা বলে বুঝিয়ে গাড়ি ফিরিয়ে দিতে দেখা যায়। জানতে চাইলে ট্রাফিক পুলিশ সদস্য বলেন, রোগীর গাড়ি, ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ও লাসবাহী গাড়ি ব্রিজ ব্যবহারের অনুমিত আছে।
দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে দেখা যায়, ব্রীজ ব্যবহারের সময় যে যানজট নৃত্যদিন লেগে থাকতো তা অনেকাংশে কমে গেছে। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে হেঁটে কেউবা রিকসায় চড়ে এপার থেকে ওপারে স্বাচ্ছন্দ্যে যাওয়া আসা করছেন। পুলিশ কমিশনারের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ব্রীজ ব্যবহারকারীরা। এতে করে বৃটিশ আমলে তৈরি শত বছরের পুরনো সিলেটের ঐতিহ্যবাহী লোহার ব্রিজের আয়ুকাল আরো বেড়ে যাবে। ব্রীজটি আগামী কয়েক প্রজন্ম দেখে যেতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এ বিষয় নিয়ে গতকাল কথা হয় সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়ার সাথে। তিনি এ প্রতিবেককে বলেন, শহরের যানজট নিরসন ও জনগনের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য পুলিশের এমন সেবা অব্যাহত থাকবে। সুস্থ পরিবেশের জন্য ব্রিজের গোড়ার দু প্রান্তে নানা অপকর্মের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এ প্রতিবেদকের সামনে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ফোনে নির্দেশ দেন গোলাম কিবরিয়া।
উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তি সবার জন্য আইন সমান। ব্রীজ ব্যবহারে আগে থেকে বিধি-নিষেধ ছিলো। সচেতনতার অভাবজনিত কারনে ফল না আসলেও এখন আসতে শুরু করেছে। জনগনের মাঝে ট্রাফিক আইন মানার প্রবণতা বাড়লে যানজট কমে আসবে। বলেন ফয়সাল মাহমুদ।