জাহাঙ্গীর আলম খায়ের, বিশ্বনাথ থেকে :
২১ বছর পূর্ণ না হওয়ায় কনে ছাড়াই বাড়ি ফিরতে হলো বিশ্বনাথে বর সেজে আসা কাওসার মিয়াকে। তিনি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নতুন পারকুল গ্রামের ছমরু মিয়ার ছেলে। গতকাল শুক্রবার কাওছার মিয়ার বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করা হয় বিশ্বনাথের উজাইজুরি গ্রামের এক কনের সঙ্গে। পূর্ব-নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী শুক্রবার বাদ জুম্মা বর ও কনেসহ উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বনজরা হাজির হন বিশ্বনাথের নকিখালীর ‘শাহ্ উসমান’ কমিউনিটি সেন্টারে। কাবিন রেজিষ্ট্রির জন্য হাজির হন রামাপাশা ইউনিয়নের কাজী জামাল উদ্দিনও। তখন জন্ম নিবন্ধনের কাগজ হাতে নিয়ে কাজী জামাল উদ্দিন দেখতে পান বরের বয়স ১৯বছর। তাই বরের বয়স কম হওয়ায় বিয়ে না পড়িয়েই চলে যান তিনি। ফলে নিরুপায় হয়ে কনে ছাড়াই বর সেজে আসা কাওসারকে বাড়ি ফিরতে হলো।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেনকে ঘটনাস্থলে পাঠান। পরে ইউপি সদস্য মিনা বেগম ও ইছাক আলীকে নিয়ে চেয়ারম্যান আলমগীর সেখানে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষের মুছলেকা নিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। এ সময় থানার এসআই স্বাধীন সরকার ও এএসআই জামাল উদ্দিনও উপিস্থত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ পরাগ তালুকদার ও রামপাশা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তারা বলেন, বরের ২১ বছর বয়স না হলে সেটি বাল্য বিয়ে বলে গন্য হয়। তাই ওই বিয়েটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
