দ্বন্দ্বেই মন্দ

53

নূরনবী হীরা

দ্বন্দ্বেই মন্দ বন্ধ হয় ছন্দ
গন্ধ ছড়ায় হারায় আনন্দ,
হারায় সাজানো স্বপ্নগুলো
প্রভাব আর কলহে ম্লান হয়ে যায়
হাসিমাখা মুখের হাসিগুলো।

অযথা দোষারোপে বাড়ে একাকীত্ব
দ্বিত্ব চিন্তায় আসে মৌনতা
নিঃশ্বাস দীর্ঘ হয়
নিগূঢ় চিন্তায় প্রশান্ত মনে আটকায় কষ্টের শিকল
বিকল হয় সকল চাওয়া।

আপন মানুষগুলো বুঝে না খুঁজে না ইতিবাচক কিছু
উচু স্বরে দিয়ে যায় আঘাত,
তারা মূল্য দিতে ব্যর্থ উঠতি উদ্যানের
সকালে রাঙা প্রভাত ভেঙে দেয় আশা
তপ্ত দুপুর করে তামাশা,
চোখের কোণে বাসা বাঁধে মাকড়সা।

মনের করিডোরে বসত করে দুঃখের পাহাড়
ঘরের করিডোর থেকে বেরিয়ে আসে দীর্ঘশ্বাস,
ইঁদুর সস্তিতেই দলবেঁধে চলে
কেটে কুচি করে মায়বী রঙিন স্মৃতি।
অধিক কষ্টে অপলক চেয়ে থাকা দিগন্তে
ধূলোমাখা মসৃণ দর্পণের প্রতিবিম্ব অট্টহাসি হাসে
ধীক্কার জানায় হারিয়ে যাওয়া আনন্দঘন দিনগুলো।

পড়ন্ত বিকালে মনের আকুতি উড়ে নীল আকাশে
মেঘের সাথে করে ক্ষণিকের লুকোচুরি,
গোধূলীতে ফের নেমে আসে অন্ধকার
জীবন লুকিয়ে যায় অন্ধকারের আরো গভীরে,
নির্ঘুমে কাটে রজনী
উষ্ণ স্বজন আর সজনীরা শান্তিতে ঘুমায়।

অকল্পনীয় হাজারো ব্যথা তীরের আঘাত করে মনের ভেতর
তখন অসহায় হয়ে চিৎকার করে কাঁদে প্রাণ কাঁদে হৃদয়।