কয়েলে নয় পেট্রোলের আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারান চম্পা

37

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
একমাস ১৩ দিনের মাথায় রহস্য উদঘাটন করা হলো কয়েলের আগুনে দগ্ধ হওয়ে মারা যাওয়া চম্পা বেগমের বসত ঘরের অগ্নিকান্ডের ঘটনার। কয়েলের আগুনে নয়, স্বামীর সৎভাইয়ের স্ত্রী রেহেনা বেগমের প্রেমিক সৎবোনের স্বামী বিশ্বনাথের রহিমপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের আরশ আলীর দেওয়া পেট্রোলের আগুণেই মারা যান চম্পা। পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্বামী-ফারুক মিয়া, স্ত্রী চম্পা বেগম ও তাদের সন্তানদের পুড়িয়ে মারতেই বসত ঘরে আগুন দেন আরশ আলী। গতকাল বুধবার দুপুরে আরশ আলীর দেওয়া স্বীকারুক্তির তথ্য জানিয়ে প্রেস-ব্রিফিং করেন থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম। সিলেটের ওসমানীনগর সার্কেল এএসপি সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে প্রেসÑব্রিফিংয়ে ওসি জানান, কয়েলে নয়, পেট্রোলের দেওয়া আগুনেই মারা যান গৃহিনী চম্পা।
ওসি জানান, গত ২৮ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় কামাল বাজারের হুসিয়ার এন্টারপ্রাইজ থেকে ২লিটার পেট্রোল কিনেন আরশ আলী (৪৫)। পরদিন ২৯ আগষ্ট বুধবার ভোররাতে একই গ্রামের কৃষক ফারুক মিয়ার ঘরের দরজার ফাক দিয়ে আগুন দেন তিনি। এতে অগ্নিদগ্ধ হন ফারুক মিয়া, তার স্ত্রী চম্পা বেগম, মেয়ে রিফা বেগম, ছেলে এমাদ মিয়া, এমরান মিয়া, ও মিজান মিয়া। উন্নত চিকিৎসার জন্যে চম্পা ও তার মেয়েকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ২ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চম্পার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে কয়েলের আগুণে বসত ঘরসহ একই পরিবারের ৬সদস্য অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
পরবর্তিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর চম্পার ভাই টেংরা গ্রামের সফিক মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২১)। মামলার প্রেক্ষিতে ফারুক মিয়ার সৎভাই প্রবাসী ফরিদ মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। রেহানার স্বীকারোক্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে আরশ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। প্রেস-ব্রিফিংয়ের পর বুধবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।