সিরিয়াল কিলার শফিক

71

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথ উপজেলার আশুগঞ্জে ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে সকল অপরাধ কর্মকান্ড সংঘটিত হয়েছে তার সবকটিই নারী লোভী শফিক ঘটিয়েছে। তাছাড়া ওই এলাকায় অজ্ঞাতনামা যেসকল নারী হত্যা করা হয়েছে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডে ওই শফিকের হাত রয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে থানা কম্পাউন্ডে প্রেস-ব্রিফিং করে স্থানীয় সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম। দুর্ধর্ষ অপরাধী শফিক মিয়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত উহাব উল্লার ছেলে।
ছাতকের কলেজছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পলাতক থাকাকালীণ গত ১০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল থেকে রুমী নামের এক কিশোরীকে তার বাড়িতে এনে ধর্ষণের পর হত্যা করে শফিক। পরে এ ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আর ২০১৭ সালের ২২ এপ্রিল রাতে মাত্র ৩ হাজার টাকায় দেহব্যবসায়ী অজ্ঞাতনামা এক নারীকে সিলেটের রেলগেইট থেকে বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুরস্থ তার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে শফিক। ধর্ষণের পর টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হলে একই জায়গায় ওই নারীকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। দেড়বছর আগের ওই ঘটনায় তার চাচাতো ভাই ইমরান আহমদ রিয়াদ ও দুলাল নামের দুই যুবককে ফাঁসাতে তাদেরর ছবিও লাশের ব্যানেটি ব্যাগে রেখে দেয়। সর্বশেষ ওই অজ্ঞাতনামা নারীর পরিচয় বের না করেই গত জুলাই মাসে সিলেট ‘পিবিআই’র ইন্সপেক্টর মোহন রঞ্জন দাশ ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল করেন।
নিহত রুমীর ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনোও পাননি জানিয়ে ওসি দোহা আরও বলেন, ঘাতক শফিকের পাশাপাশি তার স্ত্রী সোনালী আক্তার হিরা, ভাবী লাভলী বেগম ও দিপা বেগম হত্যাকান্ডটি দেখেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, (মামলা নং-১৮, তাং-১২/০৯/১৮ইং)।