মির্জাজাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পাঠদান বন্ধ

46

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর মির্জাজাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন শিক্ষকরা। গতকাল মঙ্গলবার থেকে তারা পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হলেও শিক্ষকদের ক্লাস নিতে দেখা যায়নি। প্রধান শিক্ষকের কক্ষ খোলা থাকলেও তিনি স্কুলে ছিলেন না।
মির্জাজাঙ্গাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, সকাল বিকাল দুই শিফটে বিদ্যালয়ে পাঠদান অনুষ্ঠিত হয়। এখানে মোট ১৮ জন শিক্ষক কর্মরত রয়েছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাহার উদ্দিন আখন্দ নানারকম অনিয়ম ও জালিয়াতির সাথে জড়িত। তিনি সিলেট সিটি কর্পোরেশন থেকে স্বাক্ষর জাল করে দুই বারে প্রায় ৫ লাখ আত্মসাৎ করেছেন। কিন্তু শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
কর্মবিরতি পালনকারী শিক্ষক-শিক্ষিকারা হচ্ছেন সহকারী শিক্ষক এ বি এম মুরাদ খান, সঞ্জিতা চক্রবর্তী, মঈন উদ্দিন, নন্দিতা দেব, সুলতানা বেগম, এস এম ফারুক আজাদ, হাসিনা বেগম, সোহাগ মিলন, খেলুরানী দাস গুপ্ত, জয়ীতা দাস, গায়ত্রী ধর, রেহানা বেগম, জয়ন্তী রাণী শীল, মিতালী রাণী কর, মার্জিয়া বেগম।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নন্দিতা দেব, সুলতানা বেগম, মুরাদ উদ্দিন, এবিএম মুরাদ খান, সঞ্জিতা চক্রবর্তী, মঈন উদ্দিনসহ শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের বেতনের টাকা আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক। ভুয়া রেজুলেশনে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে তিনবার বেতন বাড়িয়েছেন। এমন গুরুতর অপরাধের পরও তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। যে কারণে তার অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তির পর থেকে স্যাররা ৩ বিষয়ের বেশি ক্লাস করান না। তাদের মন-মর্জি অনুসারে ক্লাসে আসা-যাওয়া করেন। ক্লাসে পড়ালেখা হবে কি-না এ নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই।