জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের সাথে আলোচনা করে দেশের কোনো কল্যাণ হবে না – নৌ পরিবহন মন্ত্রী

42

কে.এম.লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যদি কেউ আওয়ামীলীগকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করে থাকে তাহলে, সেই চিন্তা হবে দিবা স্বপ্নের মতো। কারণ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর নাম দেশের মানুষের হৃদয়ের সাথে মিশে আছে। তাই মানুষের হৃদয় থেকে এ দুটি নাম ফু দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় আছে বলেই সর্বদিক থেকে দেশ সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ। আগে বিদেশ থেকে খাদ্য দ্রব্য আমদানি করা হতো। এখন দেশের উৎপাদিত খাদ্য শষ্য দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উজ্জীবিত রয়েছে। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস রক্ষায় আগামী সংসদ নির্বাচনে সবাইকে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
জামায়ত, বিএনপিসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষরযন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে জানিয়ে শাজাহান খান বলেন, কার সাথে আলোচনা বা ঐক্য করব? জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের সাথে আলোচনা করে দেশের কোনো কল্যাণ হবে না। যারা মানুষ হত্যা করে তাদের সাথে কোনো আলোচনা হতে পারে না। কারণ বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসীদের হাতে দেশের মানুষ নিরাপদ নয়।
তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও তামাবিল এলাকার নদ-নদী দখল, পানি ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে নলজুরি ডাক বাংলোয় মত বিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার ও সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চেীধুরী। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক নুমেরী জামান।
সভায় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিটির সদস্য শারমিন মোর্শেদ, সিলেট জেলা নদী রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মো. মনিরুজ্জামান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক ও নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটৈর উপ-পরিচালক আলতাফ হোসেন, সিলেটের কৃষি অধিদপ্তরের পরিচালক আবুল হোসেন, সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি’র (বেলা) সিলেটের সমন্বয়কারী এডভোকেট শাহ শাহেদা আক্তার, গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিশ^জিত কুমার পাল, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, সারী নদী বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি আব্দুল হাই আল হাদী, পূর্ব জাফলং ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবু প্রমুখ।
মত বিনিময় শেষে বিকেলে শাজাহান খান তামাবিল স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে সকালে মন্ত্রী জাফলং পৌঁছে বিজিবি’র সংগ্রাম সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকা থেকে পিয়াইন ও ডাউকী নদীর দূষণ পরিস্থিতি পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করেন।