জেলা ও মহানগর বিএনপির প্রতীকি অনশনে বক্তারা ॥ আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি দিন

95

বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলেছেন- অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিচারের নামে অবিচার চালিয়ে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটকে রেখেছে। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রীকে শুধু তারা কারাগারে আটকে রেখেই ক্ষান্ত হয়নি, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যা আইন ও মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। এর পরিনতি সরকারেরর জন্য সুখকর হবে না। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।
বুধবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত প্রতীকী অনশনে বক্তারা উপরোক্ত কথা বলেন। নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেলা ১১টার সময় প্রতীকী অনশন কর্মসূচীর শুরু হয়ে ১টায় সমাপ্ত হয়। পেশাজীবি পরিষদ সিলেটের সভাপতি বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ শামীমুর রহমান পানি পান করিয়ে নেতাকর্মীদের অনশন ভাঙ্গান। প্রচুর বৃষ্টিপাত ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে অনশনে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে ও মহানগর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতীকী অনশন চলাকালে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব চৌধুরী ফয়সল, মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, কাউন্সিলার রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, জেলা সহ-সভাপতি একেএম তারেক কালাম, জালাল উদ্দিন চেয়ারম্যান, ওসমান গণি, মহানগর সহ-সভাপতি মুফতি বদরুন নুর সায়েক, আব্দুস সাত্তার, ফাত্তাহ বকশী, অধ্যাপিকা সামিয়া বেগম চৌধুরী, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাচ্চু, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, জেলা সাংগঠনিক আবুল কাশেম, মহানগর সাংগঠনিক মুকুল আহমদ মোর্শেদ, মহানগর দফতর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, জেলা দফতর এডভোকেট মোঃ ফখরুল হক, জেলা প্রকাশনা এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, মহানগর প্রকাশনা জাকির হোসেন মজুমদার, জেলা শ্রম সম্পাদক সুরমান আলী, মহানগর শ্রম সম্পাদক ইউনুস মিয়া, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সালেহা কবির শেপী, মহানগর মহিলা দল সভাপতি জাহানার ইয়াসমিন, জেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক লায়েছ আহমদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, জেলা ধর্ম সম্পাদক আল মামুন খান, স্বাস্থ্য সম্পাদক আ.ফ.ম কামাল, তাতী সম্পাদক অহিদ তালুকদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে এম. এ মালেক, ফখরুল ইসলাম, আমিন উদ্দিন, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, কয়েস আহমদ সাগর, দিলোয়ার হোসেন জয়, মঈনুদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা আমেনা বেগম রুমি, বিএনপি নেতা এম. মখলিছ খান, মঈনুল হক স্বাধীন, পিয়ার উদ্দিন পিয়ার, আজির উদ্দিন আহমদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, সাবেক ছাত্রনেতা কয়েস আহমদ ও সৈয়দ সারওয়ার রেজা, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি আহসান, মহিলা দল নেত্রী মজিনা বেগম, ফারহানা বখত্ রাহেনা, ফাতেমা জামান রোজি, রেহানা ফারুক শিরিন, নাজমা বেগম, মিলি বেগম, সালমা বেগম, জাসাস নেতা ফিরোজ আহমদ, ছাত্রদল নেতা ওলীউর রহমান ফেরদৌস, হেলাল আহমদ, জহিরুল ইসলাম আলাল, নাঈমুল ইসলাম, জাবেদ আহমদ জীবন ও মল্লিক আহমদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মহানগর বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ আশরাফ আলী।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতির ময়দান থেকে দুরে রাখতেই ফরমায়েসী সাজা দিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত রেখে সরকার প্রমাণ করেছে গণতন্ত্রের মা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। দেশনেত্রীর মুক্তি নিয়ে টালবাহানা বন্ধ করুন। অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে প্রয়োজনীয় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করুন।
সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম তাঁর বক্তব্যে বলেন- আমাদের নেত্রী, আমাদের মা-এর কোন অপরাধ নেই। উনার একটাই অপরাধ উনি বাকশালীদের হাত থেক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ডাক দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ফ্যাসিস্ট সরকার তা সহ্য করতে পারে নাই। তাই একটি ভুয়া ও ষড়যন্ত্রমুলক মামলার ফরমায়েসী রায় দিয়ে দেশনেত্রীকে কারান্তরীণ করে রেখেছে। বিচার বিভাগকে ধ্বংস করে দিয়ে আমাদের নেত্রীর প্রতি বিচারের নামে চরম অবিচার করেছে। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। দেশনেত্রীকে ছাড়া দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা।
নাসিম হোসাইন তাঁর বক্তব্যে বলেন, অবৈধ সরকার আইন ও মানবাধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীর প্রতি চরম অবিচার করছে। তিন বারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রীকে বিনা চিকিৎসায় কারাগারে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। নেত্রীর মুক্তির দাবীতে চলমান আমাদের শান্তিপুর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে দুর্বলতা ভেবে থাকলে সরকার চরম ভুল করবে। গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্তির জন্য শহীদ জিয়ার সৈনিকেরা যেকোন ত্যাগ শিকারে প্রস্তুত রয়েছে। আইন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তি