কানাইঘাটে জমির বিরোধ নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

52

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলার সাতবাঁক ইউনিয়নের বায়মপুর বদিকোনা গ্রামে বিরোধপূর্ণ একখন্ড ফসলী জমির দখলকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ফারুক আহমদ নামে এক যুবক নিহত সহ ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৪জন কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। জমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহতের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কানাইঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল আহাদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে দুই জন কে আটক করেছে। তবে আটকৃতদের নাম পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় বায়মপুর বদিকোনা গ্রামের মৃত আরব আলীর পুত্র হাফিজ ইসলাম উদ্দিনের পরিবারের সাথে একই গ্রামের মৃত আছদ রাজার পুত্র আলা উদ্দিনের পরিবারের সদস্যদের সাথে বাড়ীর পাশের মৌজায় অবস্থিত প্রায় ৬৬ শতক ফসলী জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে আলা উদ্দিন ও তার ভাই ফারুক আহমদ, মাসুক আহমদ গংরা বিরোধ পূর্ণ ১৬ শতক জমিতে ধানের চারা রোপন করার সময় খবর পেয়ে হাফিজ ইসলাম উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রোপনকৃত জমি দখল করতে গেলে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত অবস্থায় এক পক্ষের ফারুক আহমদ (৩৮) তার ভাই মাসুক আহমদ (৩৫) বড় ভাই আলা উদ্দিন (৪৮) অপর পক্ষের হাফিজ ইসলাম (৪৫) তার ভাতিজা সেলিম আহমদ (৩৪) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর ফারুক আহমদের মৃত্যু হয়। আহত হাসান আহমদ (২৭) শামীম আহমদ (২০) ফয়জুল ইসলাম (৫৫) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। থানার ওসি আব্দুল আহাদ জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে হাফিজ ইসলাম উদ্দন ও আলা উদ্দিনের পরিবারের মধ্যে বেশ কিছু ফসলী জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সংঘর্ষে আহত ফারুক আহমদ ওসমানী হাসপাতালে মারা গেছে। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে। দুই জন কে আটক করা হয়েছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান হাফিজ ইসলাম উদ্দিন ও নিহত ফারুক আহমদের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে জমিজমা নিয়ে একাধিকবার মারামারি সহ বর্তমানে আদালতে মামলা মোকদ্দমা চলছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।