ঈদুল আযহায় পশু কোরবানি দিতে সিসিকের ৩৬টি স্থান নির্ধারণ

17

যত্রতত্র কোরবানির পশু জবাই করার বদলে এবার নির্দিষ্ট স্থানেই পশু কোরবানির ব্যবস্থা করতে হবে বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বেশ কিছু স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত স্থানে পশু জবাইয়ের পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং এ বিষয়ে জনগণকে উৎসাহিত করতে বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন আয়োজন করে ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার। নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান। প্রকৌশলী আলী আকবরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয় আসন্ন ঈদ-উল-আযহায় সিলেট মহানগরীর নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে হবে। এ লক্ষ্যে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ৩৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানি করতে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে লিফলেট ও বিভিন্ন ভাবে প্রচারণাও শুরু করেছে সিসিক।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন জানায়, পশু কোরবানি দেয়ার জন্য গত কয়েক বছর ধরে নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও এবছর আরো ৯টি স্থান বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, নগরীতে যততত্র পশু কোরবানি দেওয়া হলে নগরী অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। এতে করে দ্রুততার সাথে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার সম্ভব হয়ে ওঠে না। এসব বিষয় বিবেচনা করে সরকারি নির্দেশনার আলোকে নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট সিটি কর্পোরেশন। আর এর প্রচারের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ। সভায় নগরীর পাড়া-মহল্লার মসজিদগুলোতে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দিতে ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ বয়ান পেশের মাধ্যমে এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি। এছাড়া সিসিকের প্রত্যেক ওয়াডের্র কাউন্সিলররা নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রচারণার ব্যাপারে ভূমিকা রাখছেন।
সিসিকের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস জানান, ঈদের দিন সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে কোরবানির নির্দিষ্ট স্থানে সামিয়ানা টানিয়ে দেওয়া হবে। কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য থাকবে অভিজ্ঞ কসাই। যারা কোরবানি দেবেন, তারা সামিয়ানার নিচে বসে নিজেদের পশু জবাই এবং জবাই পরবর্তী মাংস কাটার প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে পারবেন।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, কনজারভেন্সি কর্মকর্তা হানিফুর রহমান ও সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস পবিত্র ঈদুল আযহার দিন এ বিষয়টি সার্বিক তদারকি করবেন।
মতবিনিময় সভায় সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহেদুল ইসলাম সুমন, প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ও নগরীর বিভিন্ন মসজিদের প্রায় দুই শতাধিক ইমাম ও মোয়াজ্জিনগণ উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি