ওসমানীনগরে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী আহত ॥ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবী শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকদের

47

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরের মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া এক মেয়ে শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় বেত্রাঘাতকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তুলেছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। আহত শিক্ষার্থী উপজেলার দয়ামীরে স্থাপিত এসও এস শিশু পল্লীর বাসিন্দা। বিষয়টি নিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। বেত্রাঘাতকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শোকজসহ পাঠদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহিদ হাসান বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষক বেত্রাঘাতকারী শিক্ষককের পক্ষ নিয়ে প্রকৃত ঘটনাটি আড়াল করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন। তবে এসওএস শিশু পল্লীর সিলেটের পরিচালক ইউসুফ আলী জানিয়েছেন- শিশু পল্লীতে বসবাসকারী ওই বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণীতে পড়–য়া এক মেয়ে শিক্ষার্থী শিক্ষকের বেত্রাঘাতে আহত হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা আমাদের কাছে অনুতপ্ত হয়েছেন। সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে তিন কর্ম দিবসের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে আশ্বস্ত করেছেন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষার্থীদের এসেমলি করানো হয়। এ সময় শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মহিউদ্দিন আখন্দ উচ্চ সুরে হুইসেল বাজান। এতে ওই শিক্ষার্থী ভয়ে চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুঠিয়ে পড়ে। এতে শিক্ষক মহিউদ্দিন উত্তেজিত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে হাত ধরে বেত্রাঘাত করতে থাকেন। বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থীর কান দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে এবং শরীরে বিভিন্ন অংশ লীলাফুলা হয়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে আহত অবস্থায় স্থানীয় চিকিৎসালয়ে নিয়ে চিকিৎসা করান।
একাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান- শিক্ষক মহিউদ্দিন প্রায়ই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন আচরণ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তিনি প্রতিবাদকারীদের নাজেহাল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকেন। তিনি প্রায়ই মেয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে উক্ত্যক্ত করার চেষ্টা করেন। এসব কারণে শিক্ষক মহি উদ্দিন অভিভাবকসহ স্থানীয়দের হাতে একাধিকবার লাঞ্ছিতও হয়েছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মহিউদ্দিন আখন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করার কথা বলে তিনি মোবাইলের সংযযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে সময়ে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেনি। মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদ হাসান বলেন, আমি শিশু পল্লীতে গিয়ে মেয়েটিকে দেখে এসেছি। বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। পরিচালনা কমিটির সাথে আলোচনা করে সভার মাধ্যমে এ ব্যাপারে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।