রুট পারমিট আছে ৫০ পরিবহনের, চলে ২শ’ -ডিএমপি কমিশনার

27

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া জানিয়েছেন, রাজধানীতে ৫০টি বাসের রুট পারমিট থাকলেও চলছে ২০০টিরও বেশি।
শনিবার (১১ আগষ্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, সড়কে গাড়ি থাকবে কি থাকবে না, এটি আমার সাবজেক্ট না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামতে দেওয়া হবে না, লাইসেন্স ছাড়া কোনো চালক গাড়ি চালাতে পারবে না। অতীতে এসব বিষয়ে ছাড় দিতে গিয়ে চরম অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়েছে। অনিয়মকে প্রশ্রয় দিয়ে বিশৃঙ্খলতা বাড়াতে চাইনা। এজন্য অন্য সংস্থা রয়েছে। যেমন- বিআরটিএ’র কাজ গাড়িকে ফিট করে রাস্তায় নামানো বা চালকের আরো বেশি লাইসেন্স ইস্যু করা।
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় চারটি বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এনফোর্সমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং, এনভায়ারনমেন্ট এবং এডুকেশন। এর মধ্যে এনফোর্সমেন্টের বিষয়টা পুলিশের দেখার কথা। বাকীগুলো দেখার জন্য সরকারের অন্যান্য বিভাগ রয়েছে। কিন্তু অ্যান্ড অব দ্যা ডে যে কোনটার ব্যত্যয় ঘটলেই সব দায় ট্রাফিক পুলিশের উপরই বর্তায়। তারপরেও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
যেমন বাস বে কিংবা টার্মিনালের বিষয়টা সিটি করপোরেশন বা সড়ক বিভাগ দেখবে। ট্রাফিক সিগন্যালের বিষয়টাও সিটি করপোরেশন দেখে। তাই আমরা মনে করি, সংস্থাগুলোর সমন্বয় আরো জোরদার করতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীতে ৫০টি বাসের রুট পারমিট রয়েছে, কিন্তু বাস চলছে ২০০টি। কিন্তু এগুলো চলতে দেয়া যায়না, আমরা চেকপোস্ট বসিয়ে এগুলো তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছি। বাইপাস করে যেসব গাড়ি ঢাকার ভেতর দিয়ে যাতায়াত করে, সেগুলোর নতুন করে পারমিশন দেওয়া হচ্ছে না। বরং পুরোনোগুলোর পারমিশন বাতিল করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে স্বল্প-মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা আরো কঠোর হবো। সিএনজি চালিত অটোরিকশা এবং গণপরিবহনের কোনটিই নিয়ম অমান্য করে চলতে পারবেনা।
রমিজ উদ্দিন কলেজের দুই শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনায় চালকের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, মালিক, হেলপার ও চালকদের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় মামলা হয়েছে। আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন, এভিডেন্স সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তে তাদেরকৃত অপরাধ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইতোপূর্বে পুলিশের বিভিন্ন উদ্যোগ শুরু হলেও তা টিকে থাকেনি।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, নিজে আইন মানুন, অন্যকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করুন। কোন উদ্যোগই হারিয়ে যাবেনা। জঙ্গি দমনের মতো মাদক দমনেও আমরা সফল হবো। ঠিক তেমনিভাবে সবার সহযোগিতা পেলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায়ও আমরা সফল হবো।