আন্দোলন শিখেছি মায়ের কাছে – শেখ হাসিনা

86

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, আন্দোলন কীভাবে গড়ে তুলতে হয়, সেটি তিনি শিখেছেন তার মায়ের কাছে। পাকিস্তান আমলে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে থাকা অবস্থায় বা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ভূমিকা তুলে ধরে এ কথা বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বঙ্গমাতার ৮৮তম জন্মদিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তার জীবনের নানা দিক তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। জানান, রাজনীতিবিদ বঙ্গবন্ধুর জীবনকে কতটা সহজ করেছেন তার স্ত্রী। তার সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কতটা প্রভাব রেখেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি নিজে অন্যভাবে ক্যামোফ্লেজ করে যেয়ে আন্দোলনটাকে গড়ে তুলেছেন। আন্দোলন কীভাবে করতে হবে, সেটা আমার মায়ের কাছ থেকেই শেখা দেখা।’
শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে শৈশবে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকায় আসা, বাবার দুই বারের মন্ত্রিত্ব প্রাপ্তি ও বরখাস্ত, মন্ত্রিত্ব ছেড়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করা, গ্রেপ্তার, ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯ এর গণ আন্দোলন, ৭ মার্চের ভাষণসহ নানা বিষয় তুলে ধরেন। আর এর সব কিছুর পেছনে মায়ের ভূমিকাও বর্ণনা করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘পৃথিবীতে যা কিছু অর্জন হয়, তার পেছনে প্রেরণা দেয়ার কেউ না কেউ থাকেন। তা না হলে কখনও কোনো নেতাই সফলকাম হন না। ঠিক তেমনি আমার বাবার যে রাজনীতির পেছনে আমার মায়ের বিশাল অবদান রয়েছে।’
‘রাজনৈতিকভাবে আমার মা দৃঢ়চেতা ছিলেন। রাজনীতিতে সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে সেটা বিরাট একটা ক্ষতি হয়ে যায়।’
বঙ্গমাতা কীভাবে নেতা-কর্মীদের পাশে থেকেছেন, যুদ্ধের পর বীরাঙ্গনাদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কাজ করেছেন, সেটিও জানান তার মেয়ে।
শেখ হসিনা বলেন, ‘মার্শাল ল দেয়ার পর নেতা-কর্মীরা জেলে। পরিবারগুলো বাজার করতে পারে না। আমার মা কিন্তু নিজের কথা চিন্তা করেননি। আওয়ামী লীগের কোন নেতা, কার বাড়িতে চুলা জ্বলল কি না, তার খবরটা রাখতেন, কোনো কর্মী অসুস্থ কি না তার খবরটা রাখতেন।’
‘নিজের ঘরে খাবার আছে কি না, সেটা তিনি তিনি কখনও দেখতেন না, কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী কোন অবস্থায় আছে, গরিব আত্মীয় স্বজনকে দেখা, তাদের ছেলেমেয়েদের বিয়ে সাদী থেকে শুরু করে লেখাপড়া, চিকিৎসা, সব কিছু যেন আমার বাসা ছিল অবারিত দ্বার। সবার জন্যই যতটুকু পারতেন সাহায্য করে যেতেন।’
বঙ্গমাতা ছিলেন ‘গেরিলা’ : বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকা অবস্থায় তার নির্দেশনা কীভাবে গোয়েন্দাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে নেতা-কর্মীদের কাছে পৌঁছে দিতেন, সেটিও জানান শেখ হাসিনা।