সিলেটে চালক-যানবাহনের বিরুদ্ধে ৮শ মামলা দায়ের

30

স্টাফ রিপোর্টার :
ট্রাফিক সপ্তাহের চতুর্থদিনে সিলেটে প্রায় ৮ শত গাড়ি ও চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এর মধ্যে সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৯টি পয়েন্টে অভিযান চালিয়ে ফিটনেস, রুট পারমিট, গাড়ি ও চালকের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিহীন যানবাহন, মোটরসাইকেলে তিনজন ও হেলমেট বিহীন চালকসহ নানা ক্রটির কারণে ২৯৩ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ২২২টি মামলা করা হয়েছে যানবাহনের বিরুদ্ধে আর বাকী ৭১ টি মামলা করা হয়েছে চালকের বিরুদ্ধে। এসময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১২ টি মোটরসাইকেল আটক করেছে পুলিশ।
অপরদিকে সিলেট জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ৪৭৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া সারাদিনে প্রায় সাড়ে ৫ শ মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এরআগে ট্রাফিক সপ্তাহের তৃতীয়দিন জেলায় ৩৭৭ টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্তি জেলা পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, প্রতিদিন মামলার সংখ্যা বাড়ছে। আমরা ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট বসিয়ে কঠোর ভাবে নজরদারি করছি। যাতে সড়কে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। আইন সবাইকে মানতে হবে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (ট্রাফিক) তোফায়েল আহমদ বলেন, চলমান ট্রাফিক সপ্তাহ উপলক্ষ্যে নগরীর ১৯ টি পয়েন্টে চেক পোষ্ট বসিয়ে নজরদারি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬ টি চেক পোষ্টে রোটার স্কাউটরা পুলিশের সাথে মিলে দায়ীত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলে হেলমেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মামলা ও জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া ফিটনেস, রুট পারমিট ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন যান আটক করা হচ্ছে। ট্রাফিক সপ্তাহের প্রথম তিন দিনে সিলেট বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭১০ টি গাড়ি ও ১৮৫ চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এসময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৫৫ টি যানবাহনও আটক করে পুলিশ। এছাড়া গতকাল বুধবার যানবাহনের বিরুদ্ধে ২২২টি মামলা ও চালকের বিরুদ্ধে আরো ৭১ টি মামলা করা হয়েছে।এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ১২ টি মোটরসাইকেলও আটক করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চলমান এই অভিযানে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। জনগণ আমাদের এই অভিযানে এখন পর্যন্ত সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, হেলমেট পরার প্রবণতা আগের তুলনায় বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষণ। জনগণ সচেতন হলে মামলার সংখ্যা বহুলাংশে কমে যাবে বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।