ফরহাদ চৌধুরী শামীমের কাউন্সিলর পদ বাতিলের দাবি

32

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের বিজয়ী কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতি ও তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলে কাউন্সিলর পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে তিনি এ দাবি জানান। ইমদাদ হোসেন রেডিও প্রতীক নিয়ে সিসিক নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ৩০ জুলাইয়ের নির্বাচনে ফরহাদ চৌধুরী আনোয়ারা মতিন একাডেমি, বিলাস কমিউনিটি সেন্টার এবং শাহপরাণ প্রি-ক্যাডেট একাডেমি ৩টি কেন্দ্রর ৪টি ভোট সেন্টারে ব্যাপক অনিয়ম ও পেশিশক্তির মাধ্যেমে ঘুড়ি মার্কার পক্ষে জাল ভোট প্রদান করেন। তিনি বলেন, অনেক ভোটার তাদের ভোট দিতে গিয়ে দেখেন তাদের ভোট দেয়া হয়ে গেছে। এছাড়াও আনোয়ারা মতিন একাডেমি কেন্দ্রের মহিলা সেন্টার ও শাহপরাণ প্রি-ক্যাডেট একাডেমি মহিলা সেন্টারের ফলাফল শীট তার পোলিং এজেন্টকে দেয়া হয়নি।
অভিযোগপত্রে তিনি আরো উল্লেখ করেন, ফরহাদ চৌধুরী তার নির্বাচনী হলফনামায় তথ্য গোপন রেখেছেন। যা গতকাল দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনী ম্যানুয়েল অনুযায়ী হলফনামায় প্রার্থী এবং তাহার স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের তথ্য গোপন রেখেছেন। হলফনামায় ৩নং ক্রমিকের ‘খ’ কলামে উল্লেখিত মামলা ছাড়াও আরো ৩টি মামলার (জিআর ৭২৩/২০০৫ইং, জিআর মোকদ্দমা নং ৭২৫/২০০৫, সিআর মোকদ্দমা নং ২৩/৯৫) তথ্য গোপন রেখেছেন।
তিনি হলফনামার ৬নং ক্রমিকের ‘খ’ কলামে স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ১টি দালান উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ওই দালানের পশ্চিম পাশে প্রায় দুই হাজার বর্গফুটের অত্যাধুনিক আরেকটি দালান রয়েছে; যা হলফনামায় উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া সিলেট বিমানবন্দর রোডের বড়শালা এলাকায় ক্যাডেট কলেজের উত্তরপার্শ্বে দুইতলা দালান ও কোতয়ালী থানাস্থ সিলেট মিউনিসিপ্যালিটি মৌজার জেএল নং- ৯১ মহলে চৌহাট্টাস্থিত সে:জে: ৫২৪৮ দাগে ভোলানন্দ রামকুঞ্জ সেবা মন্ডল (আশ্রম) স্থিত গিরি বাণিজ্যে ভবনে দোতলায় অবস্থিত তার ১৮, ১৯ ও ২০নং ভাড়া বন্দোবস্ত গৃহিত ৩টি দোকান কোঠা হলফনামায় উল্লেখ না করে তথ্য গোপন করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ফরহাদ চৌধুরীর স্ত্রীর নামীয় মোট ভূমির পরিমাণও হলফনামায় উল্লেখিত ভূমির পরিমাণের সাথে কোন মিল নেই। তদন্ত করলে আরও অনুল্লিখিত সম্পদের হিসাব ও ইনকাম টেক্স রির্টানের সাথে অনেক গড়মিল পাওয়া যাবে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য; এর আগে ২০০৮ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ফলে তার কাউন্সিলর পদ বাতিল করে ওই ওয়ার্ডে পুন:নির্বাচনের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। বিজ্ঞপ্তি