ঝালোপাড়ায় ৩ হত্যাকান্ডে হাসান মুন্সীকে খুঁজছে পুলিশ

36

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়ায় বাসার বাথরুম থেকে গত সোমবার মা ও ২ মেয়ের উদ্ধার হওয়া লাশের খুনিকে খুঁজছে পুলিশ। অর্ধগলিত অবস্থায় ওইদিন দুপুরে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, মা ও দুই মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কেন এই হত্যাকান্ড? কোথায় পালিয়েছে ওই দুই মেয়ের পিতা হাসান মুন্সী? পুলিশ এখন এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত।
জানা যায়, সম্প্রতি ঝালোপাড়া এলাকার খেয়াঘাট গলির জি ব্লকের প্রবাসী কামাল আহমদের মালিকানাধীন বাসায় পরিবার নিয়ে ওঠেন গোপালগঞ্জ জেলার মকসুদপুর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের হাসান মুন্সী, স্ত্রী জনি বেগম শিউলী (৩০) এবং তার ২ মেয়ে সীমা (১২) ও মিম (১৫)। গত সোমবার তালাবদ্ধ বাসার ভেতর থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীরা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে বাসার বাথরুম থেকে ওই ৩টি লাশ উদ্ধার করে। তবে হাসান মুন্সীকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। হাসান মুন্সী প্রায় ১৫ বছর ধরে সপরিবারে সিলেট থাকতেন। এ ঘটনায় নিহত জনি বেগম শিউলীর ভাই বাদশা মিয়া বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তবে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করার খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, এ ৩ হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কারণ হিসেবে নিহত জনি বেগম শিউলির স্বামী হাসান মুন্সির দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব বলে দায়ী মনে করছে পুলিশ। গার্মেন্টস কর্মী হাসান মুন্সির সংসারে ২ মেয়ে ও স্ত্রী থাকা স্বত্বেও ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করেন তিনি। এ নিয়ে স্ত্রী ও ২ মেয়ে সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে হাসান পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছেন দাবি পুলিশের। হাসান বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। ময়না তদন্ত শেষে লাশ ৩টি শিউলীর ভাই বাদশা মিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিনি লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছেন।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল বলেন, ময়না তদন্তে ওই তিনজনে শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ মিলেছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে ধারণা করছি। আমরা হত্যাকান্ডের কারণ উদঘাটনে কাজ করছি। মহিলার স্বামী হাসান মুন্সীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।