এগিয়ে থেকেও ১৬১ ভোটের অপেক্ষায় আরিফুল হক চৌধুরী

157

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থগিত করা হয়েছে দুটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ। এই দুই কেন্দ্রের পুনরায় ভোটগ্রহণ করা হবে কি না সে বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিদ্ধান্ত নিবেন বলে জানিয়েছেন সিসিক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামান। তাই ১৩২ টি কেন্দ্রে এগিয়ে থেকেও ১৬১ ভোটের অপেক্ষা করতে হবে আরিফুল হককে।
আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস থেকে প্রকাশিত ১৩২টি কেন্দ্রের মধ্যে আরিফুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ৯০ হাজার ৪৯৬ ভোট এবং নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান পেয়েছেন ৮৫ হাজার ৮৭০ ভোট।
সেই হিসেবে আরিফুল হক চৌধুরী সিসিক নির্বাচনে ১৩২টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৬২৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে স্থগিত হওয়া ২টি কেন্দ্রের মোট ভোটার ৪ হাজার ৭৮৭। নির্বাচনী এই হিসেবে বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ১৬১টি ভোট প্রয়োজন ছিল আরিফের।
ঠিক এই অবস্থায় সিসিক নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আলীমুজ্জামান জানিয়েছেন, যেহেতু আরিফ ৪ হাজার ৬২৬টি ভোটে এগিয়ে আছেন এবং এর মধ্যে ১৬১টি ভোট পেলেই তিনি বিজয়ী হবেন তাই স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানান, স্থগিত দুই কেন্দ্রের ভোটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য আজ মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশন বরাবর চিঠি প্রেরণ করা হবে। তিনিই ঠিক করবেন নতুন করে ভোট হবে নাকি আরিফুল হক চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে ৪টা পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান দাবি করেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফলাফল প্রকাশের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর ভোটের ফলাফল ঘোষণা স্থগিতের আবেদন করেন।
আবেদনে তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে আওয়ামী লীগের এজেন্টদের মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলাফলের সাথে নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে ১০-১৫ হাজার ভোটের ব্যবধান রয়েছে। তাই ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রেখে পুনঃগণনার করার অবেদন করা হয়েছে।
অপরদিকে দিনভর বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জাল ভোট এবং কেন্দ্র দখলের অভিযোগ করেছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। সব ঘটনার পর এখন নগরবাসীর চোখ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দিকেই। তার উপরই নির্ভর করছে স্থগিত ভোট কেন্দ্রে আবার ভোট গ্রহণ করা হবে কিনা।
উল্লেখ্য যে, স্থগিত কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- ২৭নং ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ২৪নং ওয়ার্ডের গাজী বুরহান উদ্দিন মাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বর্জন ও অভিযোগে শেষ হলো তিন সিটির ভোট : ব্যাপক হারে জালভোট ও বুথ থেকে এজেন্ট বের করে দেয়ার অভিযোগ, বিক্ষিপ্ত গোলযোগ এবং বর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিন সিটির ৩৯৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে। এরইমধ্যে ভোট শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয়েছে গণনা।
রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি নির্বাচনে সোমবার সকালের দিকে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। তবে বেলা বাড়তেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটরদের উপস্থিতিও বাড়তে থাকে। সময় গড়াতেই বিভিন্ন কেন্দ্রে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।
তিন সিটিতে বিএনপিসহ একাধিক মেয়র প্রার্থী কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। বরিশালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ছাড়া অন্য সব মেয়রপ্রার্থীরা ভোট বর্জন করে ও নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানান। এছাড়া সিলেটে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী ভোট বাতিলের দাবি করেছেন। অন্যদিকে রাজশাহীতে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে মেয়রপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল কেন্দ্রের সামনে মাটিতে বসে অবস্থান নেন।
তবে নির্বাচন কমিশনের সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ‘বিক্ষিপ্ত কিছু বিশৃঙ্খলা ছাড়া সার্বিকভাবে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।’ এছাড়া অনিয়ম ও গোলযোগের কারণে বরিশালে একটি এবং সিলেটে দুটি কেন্দ্রের ভোট স্থগিত করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া গেলে বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলেও জানান ইসি সচিব।
ভোট বর্জন বরিশালে : বরিশালে দুপুরেই বরিশালে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার সংবাদ সম্মেলন করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। ভোটগ্রহণ স্থগিতের দাবি জানান জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়রপ্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন ও বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মেয়রপ্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তী। দুপুর পৌনে একটার দিকে জাতীয় পার্টির ও সোয়া একটার দিকে বাসদের প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর এই আবেদন করেন।
এছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী আবুল কালাম সংবাদ সম্মেলন করে দুপুরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এর আগে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবায়দুর রহমানও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
মনীষার ওপর হামলার অভিযোগ : বাসদের মেয়রপ্রার্থী ডা. মনীষা চক্রবর্তীর ওপর হামলার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘সদর গার্লস স্কুল কেন্দ্রে দেখলাম সব ব্যালটে মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নৌকায় সিল দেওয়া। আমরা যখন প্রিসাইডিং অফিসারকে জানালাম উনি কিছুই করলেন না, বসে থাকলেন। তারপরে যখন আমরা ব্যালট পেপারটা দেখতে গেলাম, তখন আওয়ামী লীগের ব্যাজ পরা দুজন আমাকে ধাক্কা মেরে পেছন থেকে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করে এবং আমার হাত থেকে ব্যালট নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। আমার কাছে তাদের ছবিও আছে। আমার নখ পর্যন্ত ভেঙে গেছে। একজন মেয়র ক্যান্ডিডেটকে যদি তারা এভাবে আঘাত করে, তাহলে তো এই নির্বাচন করা না করা সমান।’
বুলবুলের অবস্থান : ভোট শুরুর আগেই রাজশাহীর বিভিন্ন কেন্দ্রে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন মেয়রপ্রার্থী বুলবুল। নগরীর বিনোদপুর ইসলামিয়া কলেজে অবস্থান নেন তিনি। সকাল আটটার দিকে নগরীর স্যাটেলাইট কেন্দ্রে ভোট দেয়ার কথা থাকলেও দুপুর দেড়টা পর্যন্ত তিনি একই স্থানে বসে থাকেন।
এছাড়া বিনোদপুর এলাকার মন্দরপাড়া মোড়ে ইসলামীয়া কলেজ কেন্দ্রে সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সকাল থেকে কেন্দ্রের বাইরে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কোনও ভোটার নম্বর স্লিপ সরবরাহ বা বুথও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে মোড়ে-মোড়ে আওয়ামী লীগ সমর্থকদেরকে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
সিলেটে নির্বাচন বাতিলের দাবি বিএনপি-জামায়াতের : এবার সিলেট সিটির ১৩৪টি কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রেই নারীরা আগেভাগে ভোট দেয়ার জন্য সকাল আটটা থেকে কেন্দ্রে ভিড় জমাতে থাকেন। লাইনে দাঁড়িয়ে সুশৃঙ্খল ভাবে ভোটও দেন তারা।
তবে গরীর বিভিন্ন এলাকায় ভোট জালিয়াতি, ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা বিষয়ে অভিযোগ তুলে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। দুপুরে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে গিয়ে তিনি এই দাবি জানান।
অন্যদিকে দুপুর আড়াইটায় নগরের সাপ্লাই এলাকায় প্রধান নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন জামায়াতের মেয়রপ্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। এ সময় তিনি ভোট বাতিলের দাবি জানান। এছাড়া শিবিরের এক নেতার পায়ে গুলি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন।
ভোট কেন্দ্রে গুলি, আহত ১ : সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলাকালে কেন্দ্র দখল নিয়ে নগরীর বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে তালহা খান প্রত্যয় (৪৪) নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (৩০ জুলাই) দুপুরে পৌনে ২টার দিকে সিলেট নগরের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ প্রত্যয়কে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র বলছে, বখতিয়ার বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামীপন্থি কাউন্সিলর জামশেদ সিরাজের সঙ্গে বিএনপিপন্থি কাউন্সিলর প্রার্থী দিনার খান হাসুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে সেখানে গুলির ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, জামশেদ সিরাজের সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিচ্ছিল। বাধা দিতে গেলে হাসুর সমর্থকদের ওপর গুলি ছোড়ে তারা। এতে প্রত্যয় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এর আগে কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, এজেন্টকে বের দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।
কেন্দ্র দুটি হচ্ছে-২৪ নম্বর ওয়ার্ডের হবিনন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কাজী বোরহান উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র।
সিলেট সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার এমদাদ হোসেন বলেন, জাল ভোট, ব্যালট ছিনতাইসহ বিভিন্ন অভিযোগে কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র দুটির সরঞ্জামাদিও বুঝে নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া মহানগরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র দুটিতে জাল ভোট ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় প্রায় ঘণ্টা-দুয়েক কেন্দ্র দুটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৮টা থেকেই কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট চলছিল শান্তিপূর্ণভাবে; কিন্তু ১১টার দিকে হঠাৎ করে সেখানে একদল দুবৃর্ত্ত জাল ভোট দেওয়া ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। পরে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে খাজদবীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ব্যালট পেপার ছিনতাই ও একটি কক্ষে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এতে সেখানেও ভোটগ্রহণে বিঘ্ন ঘটে।
আরিফের সংবাদ সম্মেলন : নির্বাচনে কারচুপি, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, যারা জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার কথা বলেছেন, তারাই ভোট ডাকাতি করেছেন।
সোমবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৪টায় নগরের নিজ নির্বাচনী কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আরিফুল বলেন, সিলেট সিটিতে একটি প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। সিলেটের মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ নির্বাচন আমি বয়কট করছি না। যদি পাসও করি এরপরও প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাখান করছি।
‘নির্বাচন কমিশন কতটুকু নির্লজ্জ তার প্রমাণ মানুষ দেখেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে টেবিল কাস্ট হয়েছে,’ অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী বলেন, যে কোনো বাধা আসুক আমরা সিলেটে এ ধরনের প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা দেবো।
এ সময় আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার কথাও বলেন আরিফুল হক।