ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থীর নির্বাচন বর্জন

74

সিলেটের ইতিহাসের সবচেয়ে নিকৃষ্টতম নির্বাচন হয়েছে, যেখানে জনগণ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারছেন না, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে, কেন্দ্র দখল ও ভাঙচুর করা হয়েছে, জাল ভোটের মহাউৎসব চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের মেয়র প্রার্থীর কর্মীরা। যার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচন অফিসে পাঠানো হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু করা সম্ভব নয় বলে দাবী করেছেন সিসিক নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মেয়রপ্রার্থী প্রফেসর ডা. মোয়াজ্জেম হোসেন খান, গতকাল ৩০ জুলাই নির্বাচনী প্রধান কার্যলয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো জানান। তিনি নির্বাচন বর্জনের কারণ উল্লেখ করে বলেন, ২০ নং ওয়ার্ডে নবীন চন্দ্র কেন্দ্রে সকাল ৯:৩০ মিনিটে কাউন্সিলর আযাদের নেতৃত্বে জাল ভোট দেয়া হয়। ২১ নং ওয়ার্ড সোনার পাড়া পুরুষ ও মহিলা সেন্টারে রঞ্জিত সরকারের নেতৃত্বে হামলা, কেন্দ্র দখল এবং জাল ভোট ঢালা হয় এবং এ সময় আহত হয় আমাদের পেলিং এজন্ট আব্দুল্লাহ আরাফাত। সকাল ১১ টায় ২১ নং ওয়ার্ড হাতীম আলী পুরুষ ও মহিলা সেন্টারে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। ৮নং ওয়ার্ড পাটানঠুলা জামেয়ার ৩টি কেন্দ্র তাদের দখলে নেয়া হয় এবং সেখানে আমাদের এজেন্ট মাওলানা নরুল ইসলাম কে বের করে দেয়া হয়। ২৪ নং গরম দেওয়ান সেন্টার দখল ও জাল ভোট প্রদান করা হয়। ১৮নং মডেল স্কুল ব্যালট ছিনতাই হয়। ২৬, ২৭ নং এর ৩ টা কেন্দ্র দখল করা হয় দুপুর ১২ টায় এবং দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করা হয়। ৮ নং ওয়ার্ডের বীরেশ চন্দ্র হল দখল। ১৯ নং ওয়ার্ডে সার্ক সেন্টারেও ব্যালট শেষ হয়ে যায় দুপুরের মধ্যে। ১৮ নং ওয়ার্ডে কাজী জালাল কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদান এবং ভাংচুর করা হয়। ২০ নং ওয়ার্ডে এম,সি হোস্টেলের ভোটারহীন ছাত্রদেরকে জাল ভোট প্রদানে বাধ্য করা হয়েছে। ২৬ নং ওয়ার্ডে এর সকল কেন্দ্রে জাল ভোট প্রদান করা হয়। ৩নং এ ব্লু- বার্ড স্কুলে ব্যালট ছিনতাই ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ২৭ নং ওয়ার্ডের হবিনন্দি সেন্টার থেকে আমাদের এজেন্ট বের করা দেয়া হয়েছে। আম্বর খানা দরগাহ গেইট প্রাঃ বিদ্যাঃ অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও সরকারী দলের প্রায় ২০০ জনের একটি টিম কেন্দ্রের সকল সকল ব্যালট পেপার বক্স সহ ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া হয়। পাশাপাশি প্রায় একশত পচিশ সেন্টার থেকে আমাদের এজন্টদেরকে জোর পূর্বক বের করে দেয়া হয়। সবোপরি জনগণের স্বার্থ বিরোধী উক্ত নির্বাচন স্থগিত ও পুনরায় সিসিক নির্বাচন দেয়ার দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি