টেবিল ঘড়ির প্রার্থী, প্রধান এজেন্ট ও কর্মী সমর্থকের পুলিশী হয়রানীর অভিযোগ

41

নির্বাচনের প্রাক্কালে আসন্ন সিলেট সিটি নির্বাচনে নাগরিক ফোরাম মনোনীত মেয়র প্রার্থী এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের গ্রামের বাড়ীতে, তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুনের বাড়ীতে এবং টেবিল ঘড়ির প্রচারণায় জড়িতদের বাসা-বাড়ীতে পুলিশী হয়রানীর অভিযোগ উঠছে। রবিবার মেয়র প্রার্থী এডভোকেট জুবায়ের নিজে উপস্থিত হয়ে নির্বাচন কমিশনের সিলেটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মেয়র প্রার্থী এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুন, লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান খালেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা জহুরুল হক, এনডিপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান খালেদ, বিজেপির জেলা সদস্য সচিব ডা: একেএম নুরুল আম্বিয়া রিপন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা দক্ষিণের আমীর মাওলানা হাবিবুর রহমান, জেলা উত্তরের আমীর হাফিজ আনোয়ার হোসাইন খান, সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ আল হোসাইন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজ নজমুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুর রব প্রমুখ।
অভিযোগে এডভোকেট জুবায়ের বলেন- আমি সিসিক নির্বাচনের একজন মেয়র প্রার্থী হিসেবে সবসময় মাঠে কাজ করে আসছি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, ২৬-০৭-১৮ইং তারিখে আমার গ্রামের বাড়ী মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হিংগাজিয়া গ্রামে সাদা এবং পোষাকদারী পুলিশ তল্লাশীর নামে হয়রানী চালিয়েছে। এ সময় বাড়ীর লোকজনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। শুধু তাই নয় আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হাফিজ আব্দুল হাই হারুনের গ্রামের বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুর গ্রামেও পুলিশ তল্লাশীর নামে হয়রানী চালিয়েছে। এছাড়া আমার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য এডভোকেট আব্দুর রবের গ্রামের মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার বাড়িতেও পুলিশ অনুরুপ তল্লাশীর নামে হয়রানী চালিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর এমন আচরণে শুধু শহর নয় গ্রামেও আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা আরো বলেন- একাধিকবার এসব বিষয়ে একাধিক অভিযোগ দাখিল করা সত্ত্বেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় আমরা বিস্মিত ও উদ্বিগ্ন। নির্বাচন কমিশণ ঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ে প্রচারণা চালু হওয়ার পর থেকে আমার কর্মী, সমর্থক ও এজেন্টদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হয়রানী করা হচ্ছে। এধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনের ফলে আমাদের কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শংকা তৈরী হয়েছে। এভাবে পুলিশী হয়রানী ও ভয়ভীতি প্রদর্শন দ্রুত বন্ধ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর ভুমিকা পালনের আহ্বান জানান তারা। বিজ্ঞপ্তি