সিসিক নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে ৯টি ভ্রাম্যমান আদালত

30

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে মাঠে কাজ করছে ৯টি ভ্রাম্যমান আদালত। এ ভ্রামমান আদালতগুলো পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনের ৯জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডকে ৯টি ভাগে ভাগ করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দিকে তীক্ষ্ম নজর রাখছেন তারা। এ প্রসঙ্গে জানতে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাসির উল্লাহ খান জানান, তফশিল ঘোষণার পর থেকেই নগরীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তিনি আরও জানান, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে পুরোদমে এই ভ্রামমাণ আদালতগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এরই মধ্যে পুরো সিটি করপোরেশন এলাকাকে নজরদারির মধ্যে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের এখন পর্যন্ত ২দিন পার হতে চললেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে কাউকে দন্ড প্রদান করা হয়নি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া যাবে বলে তিনি জানান।
এ প্রসঙ্গে জানতে সিসিক নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা প্রলয় কুমার সাহা জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের দৃষ্টিগোচরে এলে দায়ীদের জরিমানার আওতায় আনা হবে। নির্বাচন আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে প্রচার কাজ বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই সকাল ৮টায়। সে অনুযায়ী ১০ জুলাই থেকে থেকে ২৮ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার কাজ চালাতে পারবেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বিধিমালার কোনো বিধান অমান্য করলে, তিনি নির্বাচিত হবার পরও তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে যে কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনাও দিয়েছে ইসি।
এদিকে প্রচার কাজের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কেবল একটি মাত্র শব্দবর্ধনকারী যন্ত্র বা মাইক ব্যবহার করার জন্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। এজন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর পথসভা বা ঘরোয়া সভার জন্য অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। কোনো প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্মানহানিকর তথা চরিত্রহনন করে বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দিতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচারকাজে কেবলমাত্র দলীয় প্রধান হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে দলীয় প্রধান যদি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ তথা, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হন, তবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না। আগামী ৩০ জুলাই সিলেটসহ রাজশাহী ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।