লিবিয়া উপকূলে নৌকা ডুবে নিহত শতাধিক

73

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বিভিন্ন দেশ থেকে অবৈধ উপায়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে যাওয়া অভিবাসী ও শরণার্থীদের একটি নৌকা ডুবে শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন। লিবিয়া উপকূলে শুক্রবার এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে দেশটির কোস্টাগার্ড। খবর আল জাজিরার।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হলেও কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্বলতা ও ইতালি থেকে স্বল্প দূরত্বে হওয়ায় অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশীর কাছে লিবিয়া ক্রমেই হয়ে উঠছে বেশি পছন্দের জায়গা।
শুক্রবার লিবিয়ার এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানী ক্রিপোলির পূর্ব দিকের উপকূল থেকে ওই নৌকার ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। দুর্ঘটনার সময়ে নৌকায় আসলে কতজন অরোহী ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
২০১৭ সালে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশে যাওয়ার জন্য লিবিয়ার এই পথ ব্যবহার করেছিল প্রায় এক লাখ ২০ হাজার মানুষ। জুনের প্রথম দিকে তিউনিসিয়ার উপকূলে ডুবে যায় অভিবাসীবাহী একটি নৌকা। এতে ১১২ জনের মৃত্যু হয়। তেমনি এ বছর ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার পশ্চিম উপকূলে একটি জাহাজ ডুবে গেলে প্রায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়।
অভিবাসীবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ভূমধ্যসাগরকে বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সীমান্ত বলে বর্ণনা করেছে। গত বছর উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে এই সাগর পাড়ি দিতে গিয়ে তিন হাজার ১১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে।
বর্তমান সময়ে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে ব্যাপক বেকায়দায় রয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। তারা কেউই আর বাড়তি অভিবাসীদের নিতে চায় না। তবে এ বিষয়ে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের পর বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ম্যারাথন বৈঠক হয়। শুক্রবার অভিবাসী ইস্যুতে একটি সমঝোতা চুক্তিতে উপনীত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা।
সমঝোতার ফলে এখন থেকে স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে ইইউভুক্ত দেশগুলো নতুন অভিবাসী কেন্দ্র ঠিক করতে পারবে বলে জানিয়েছেন ইইউ নেতারা। যাচাইবাছাই শেষে সেসব কেন্দ্র থেকেই সত্যিকারের শরণার্থীদের গ্রহণ করা হবে। ফেরত পাঠানো হবে বাকি ‘অনিয়মিত অভিবাসীদের’। তবে কোন কোন দেশ অভিবাসী কেন্দ্র খুলবে এবং শরণার্থীদের গ্রহণ করবে তা স্পষ্ট নয়।
জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শরণার্থীদের অবাধ চলাচলের সুযোগে কড়াকড়ি আরোপের ব্যাপারেও নতুন এ যৌথ ঘোষণায় বলা হয়েছে। এতে সমুদ্র ও স্থল পথে ইউরোপে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের চাপ কমাতে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি তুরস্ক ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলোতে অর্থনৈতিক সাহায্য বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়েছে।