মেসির বিষাদে বিদায়

307

স্পোর্টস ডেস্ক :
চেয়েছিলেন বারবার, কিন্তু দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিতে পারলেন না মেসি। রাশিয়া বিশ্বকাপই যে তার শেষ বিশ্বকাপ, সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাকি শুধু ঘোষণাটা। কাজানে শনিবার রাতে মেসির স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপ থেকে বিষাদের বিদায় হযেছে মেসির।
নীল সাদার দুর্বল ডিফেন্সে শুধুমাত্র গতিনির্ভর ফুটবল খেলে জয় ছিনিয়ে আনল ফ্রান্স। বল নিয়ে ফরাসি ফুটবলাররা উপরে উঠলেই ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা আর্জেন্টিনার ডিফেন্সে। গ্রুপ লিগের ম্যাচেই ফাঁকফোঁকর ছিল। শনিবার নকআউটে সেই ফাঁকফোকর দিয়েই আর্জেন্টিনার ডিফেন্স ভেদ করে ৪বার বল জালে দিলেন ফরাসী ফুটবলাররা। আর ফরাসী হামলার মুখে খানিকটা নিষ্প্রভ ছিলেন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসিকে। ৩-৪ গোলে হেরে গেলেন মেসিরা। বিশ্বকাপের আসরে এই প্রথম ফ্রান্সের কাছে হারল আর্জেন্টিনা।
বার্সোলোনার মেসিটা যতটা ভাল, নীল-সাদা জার্সির মেসি কি ততটা নয়? ফ্রান্স-আর্জেন্টিনা ম্যাচের পর ফের উঠে গেল এই প্রশ্ন। বন্যরা বনে সুন্দর, তেমনই বোধহয় বার্সেলোনায় সুন্দর মেসি! এটাই মেসির শেষ বিশ্বকাপ। আর বিশ্বকাপে খালি হাতেই ফিরতে হল তাকে। গোটা ম্যাচে দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রেই নজরে এলেন মেসি। বাকি সময়ে টিভি ক্যামেরার ক্লোজআপে ভেসে উঠেছে মেসির হতাশ মুখ। এই মেসিকে অচেনা লেগেছে ভক্তদেরও।
গত ম্যাচে ‘মেসি’র ঝলক দেখে উজ্জীবিত হয়েছিলেন ভক্তরা। রোনালদোর সঙ্গে তুলনা থেকে মেসিবন্দনায় নানা ধরনের মিমের ছড়াছড়ি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু, নকআউটে হতাশা উপহার দিলেন মেসি। পেলে, মারাদোনার মতো গ্রেটদের ঝুলিতে রয়েছে বিশ্বকাপ। মেসি বোধহয় ফুটবল ইতিহাসে থেকে যাবেন বার্সার ‘প্রতিভাবান’ ফুটবলার হয়েই। বিশ্বকাপের আঙিনা থেকে বিষাদের বিদায় মেসির।
এদিন ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ফ্রান্সের অ্যান্টোনিও গ্রিজম্যান। তবে একচল্লিশ মিনিটে বাঁ পায়ের অসাধারণ শটে গোল করে আর্জেন্টিনার হয়ে সমতা ফেরান অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হওয়া মাত্রই গোল করে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির জোরালো শট মার্কাডোর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। এরপরই দুরন্তভাবে ম্যাচে কামব্যাক করে ফ্রান্স। দশ মিনিটের একটা ফরাসী অভিযান। আর তাতেই লন্ডভন্ড আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। প্রথমে পাভার্ড। তারপর কাইলিয়ান এমবাপের জোড়া গোল। লিওনেল মেসির ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। অতিরিক্ত সময়ে আগুয়েরো গোল দিলেও ম্যাচ তখন হাতের বাইরে। এভাবেই নিজের হাতে ট্রফি তোলার স্বপ্ন রাশিয়ায় ফেলে এলেন লিওনেল মেসি।