চা শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

32

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দেশের সর্ববৃহৎ শ্রমিক সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে মাখনলাল কর্মকার সভাপতি ও রামভজন কৈরী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
রবিবার (২৪ জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সারাদেশের ২০টি উপজেলার সাতটি ভ্যালির ২২৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার (২৫ জুন) গঠিত নির্বাচন কমিশনের কমিশনার শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) শিবনাথ রায় স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
এতে কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর প্যানেলে দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে মাখনলাল কর্মকার ৫১ হাজার ৩৬৭ ভোট পেয়ে সভাপতি বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শ্রী ধনী কুর্মী ভোট পেয়েছেন ২০ হাজার ২৮৩টি।
এদিকে সম্পাদকমণ্ডলীর প্যানেলে ফুটবল প্রতীক নিয়ে রামভজন কৈরী ৬১ হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মহাসংগ্রাম কমিটির প্রার্থী গীতা রানী কানু ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩০টি।
এছাড়াও সাতটি ভ্যালি কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা, মনু-ধলই ভ্যালি সভাপতি ধনা বাউড়ী, লংলা ভ্যালি সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, লস্করপুর ভ্যালি সভাপতি রবীন্দ্র গৌড়, জুড়ী ভ্যালি সভাপতি কমল বোনার্জী, সিলেট ভ্যালি সভাপতি রাজু গোয়ালা ও চট্টগ্রাম ভ্যালি সভাপতি নিরঞ্জন নাথ বিজয়ী হয়েছেন।
গঠিত নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশের পাঁচ জেলার ২০টি উপজেলার ২২৮টি চা বাগানের সাতটি ভ্যালিতে এ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২২৮টি কেন্দ্রে ৩৪৩টি বুথ রয়েছে। বাগান ও ফাঁড়ি বাগানের মোট ৯৮ হাজার ৭৫২ জন চা শ্রমিকের মধ্যে ৯৪ হাজার ৩শ’ ৩২ জন শ্রমিক এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ৫৩৬টি পঞ্চায়েত প্যানেলের মধ্যে ৩৫টি একক প্যানেল অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণ করেনি পাঁচটি প্যানেল। যার ফলে ৫০১টি প্যানেলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ১২৫টি কেন্দ্রে ভোটাভোটি হয়।