আজমিরীগঞ্জে আ’লীগের বর্ধিত সভায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি হামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে নিহত

35

হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দু’পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতর আলী মিয়ার ছেলে আল-আমিন মিয়া নিহত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে সোমবার বিকেলে দলীয় বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। দফায় দফায় ঘটছে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর দফায় দফায় হামলা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ডাক্তারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ডাক্তার জানিয়েছে তার শরীরে কোন আঘাত পাওয়া যায়নি। তবে কিভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতন্তের রিপোর্ট পেলে যানা যাবে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় একটি সূত্র জানায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী মিয়া গত ৩০ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১১ জুন এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৪ জুন মনোনয়নপত্র দাখিলের কথা। ২৬ জুন বাছাই, ৩ জুলাই প্রত্যাহার ও ২৫ জুলাই ভোট গ্রহণ। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের ৩ জনের নাম প্রস্তাব করে প্রেরণের জন্য বলেন। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে বর্ধিত সভায় বসে। উপজেলা সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার আলীর পরিচালনায় সভায় উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন ভূইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মর্তুজা হাসান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতর আলী মিয়ার ছেলে আল-আমিন ও রানা রায় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নিজেরা প্রার্থী হওয়ার জন্য ঘোষণা দেন। কেউই ছাড় দিতে রাজি হননি। এ সময় মিসবাহ উদ্দিন ভূইয়া এবং আল-আমিনের মাঝে বাক বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে সভায় হট্টগোল শুরু হলে একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে নেতাকর্মীরা হামলা পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় আল-আমিন হাতাহাতিতেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তার পক্ষের লোকজন এসে হলরুমে নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। এরপর থেকে কয়েক দফায় হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। নিহত আল-আমিনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।