মৌলভীবাজার ত্রাণ বিতরণে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মায়া ॥ পানিবন্দী মানুষের জানমালের রক্ষা করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব

80

মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মৌলভীবাজারসহ বৃহত্তর সিলেটের যেসব জায়গায় পানিবন্দী হয়েছে, মানুষেরা কষ্টে আছে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। তাদের জানমাল রক্ষা করা এইটি হলো আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এখানে আমি আমার সচিব মহোদয় এবং এই এলাকার তিনজন সংসদ সদস্য,জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল আহমদ এর সভাপতিত্বে এই সভা হয়েছে। সেই সভায় এই এলাকার মানুষের দু:খ দুর্দশা লাঘব করার জন্য কি কি করণীয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা ঢাকায় গিয়ে মন্ত্রণালয়ে বসে এগুলো আমরা বিহিত ব্যবস্থা নেব এবং প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করবো।
সোমবার (১৮জুন) দুপুরে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউসে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের হাতে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা মজুদ রয়েছে। বন্যায় যেসব বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গেছে বা ভেসে গেছে সেগুলো মেরামত করা এবং ঘর তৈরি করে দেয়া। তারজন্য তাৎক্ষণিক এখন ১০০০ বান টিন, নগদ ৩০ লক্ষ টাকা ঘর মেরামত করা ও টিন দিয়ে ঘর তৈরি করার জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আরো তাৎক্ষণিক এই দুস্থ মানুষের নগদ ক্যাশ টাকা দেয়া জন্য ১০ লক্ষ টাকা নগদ দিয়েছি ও ৫০০ মেট্রিক টন চাউল আমরা দিয়েছি এগুলো দিয়ে চলবে। যতক্ষণ যতদিন পর্যন্ত মানুষের দু:খ দুর্দশা লাঘব না হবে ততদিন পর্যন্ত এই ত্রাণ সামগ্রী আমরার দেয়া অব্যাহত থাকবে। আমরা জানি কোন অভাব নাই,খাদ্য গুদামে চালের কোনো অভাব নাই। আমরা পরিস্কার বলেছি এলাকার মানুষের যে চাহিদা তার চেয়ে বেশি দিতে আমরা সক্ষম হবো।’
রাজনগর উপজেলা ও কুলাউড়া উপজেলার চাতলা পুর এলাকায় এখনো মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না এমন অভিযোগ আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘কথা সঠিক নয়। পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী এই এলাকায় গেছে, জেলা প্রশাসকের সাথে কথা হয়েছে আমার। আপনারা বুঝতে হবে মাত্র চারদিন হইলো বন্যার পানি আসে। এই অল্প সময়ের মধ্যে দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ানো চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তারপরও জেলা প্রশাসন ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত দ্রুততার সাথে তাদের সামনে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। যে কথা বলেছেন যদি সঠিক হয়ে থাকে তাহলে বলবেন সেই জায়গায় এখনই ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেছেন মানুষের আর ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে কষ্ট হবে না।’
বন্যা প্রতিবছর হবে স্থায়ী সমাধানের কি করণীয় সাংবাদিকরা যখন পানি উন্নয়নের বোর্ডের কাছে সংবাদকর্মী হিসেবে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে তাদের বরাদ্দ না থাকায় বাঁধ নির্মাণ করতে পারছেন না এসব অভিযোগ নিয়ে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,‘এবিষয়ে এখানে আলোচনা হয়েছে। আমরা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলবো এসব অভিযোগগুলো ছিল,আগামী দিনে এসব অভিযোগের কথা আর উঠবে না। স্থায়ী সমাধানের সম্মলিতভাবে আমরা কাজ করবো।’
পরে মন্ত্রী পৌরসভার বড়হাট এলাকায় বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৌলভীবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক চীফ হুইপ প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. আব্দুস শহীদ এমপি, সংসদের প্যানেল স্পিকার সৈয়দা সায়রা মহসীন এমপি, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ্ জালাল, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নেছার আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান প্রমুখ।