পাহাড়ী ঢল ও বৃষ্টিপাতে বাড়ছে সিলেটের নদ-নদীর পানি

42

স্টাফ রিপোর্টার :
পাহাড়ী ঢল ও থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের ফলে বেড়েই চলেছে সিলেটের নদ-নদীর পানি। গত ৩ দিন থেকে বৃষ্টিপাত ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের উজান থেকে নেমে আসা এসব পাহাড়ী ঢলের এই পানি বাড়ার অন্যতম কারণ। বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্টের নদীর পানি। এতে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল। সীমান্তবর্তী কানাইঘাট, গোয়াইনঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলাসহ সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চল অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সিলেটের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছন্ন রয়েছে কানাইঘাট উপজেলার। জৈন্তাপুরের দরবস্ত সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় কানাইঘাটের সাথে সিলেটের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার হিসেব অনুযায়ী সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুনামগঞ্জ পয়েন্টের পানি বিপদসীমার ২ দশমিক ২৫ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমার কানাইঘাট পয়েন্টে পানি ১ দশমিক ৯৮ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির প্রবাহ ক্রমাগত বাড়ছে। এ কারণে কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকা রাস্তা ঘাট পানির নিচে রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে ১ দশমিক ০১ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৪০ সেন্টিমিটার, শেরপুর পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গোয়াইনঘাট উপজেলার সারিঘাট থেকে গোয়াইনঘাট রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। বন্যার পানি কানাইঘাট বাজারে ডুকে পড়ায় কেনাকাটায় আসা নারী শিশুরা বিপাকে পড়েছেন। এ ছাড়াও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের বায়মপুর, ২নং ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামে পানি ঢুকার খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে উপজেলার চাতল হাওর সহ সবকটি হাওরে পানি ঢুকতে শুরু করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালের দিকে প্রবল বেগে পানি বাড়তে তাকে। উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ও লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রাম ও কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা ও এসিল্যান্ড লুসিকান্ত হাজং সার্বিক পরিস্থিতি দেখার জন্য কানাইঘাট বাজার, গৌরিপুর সুরমা ডাইক ও লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। কানাইঘাট সদর ইউপির মারাত্মক নদী ভাঙ্গন কবলিত ভাটিদিহি গ্রামের ফয়জুর রহমানের বাড়ির পাশে সুরমা ডাইক ভেঙ্গে তীব্র পানি এলাকায় ঢুকে পড়েছে। সদর ইউপির ছোটদেশ, গোসাইনপুর, সোনাপুর, সতিপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে সুরমা ডাইকে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পৌরসভার বায়মপুর, গৌরিপুর, রামপুর, বানীগ্রাম ইউপির সর্দারমাটি সুরমা ডাইকের বিশাল এলাকা ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে। যে কোন সময় ডাইকটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙ্গে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হতে পারে।