প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের আগে তিস্তায় পানির ঢল, কৃষকের মুখে হাসি

36

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের আগমুহূর্তে অস্বাভাবিক পানি বেড়েছে তিস্তা নদীতে। হঠাৎ এই পানি বাড়ায় হাসি ফুটেছে এই অঞ্চলের কৃষকদের মুখে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী শুক্রবার দুই দিনের সফরে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় যাচ্ছেন। সেখানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে।
শেখ হাসিনার সফরের আগে দুই দেশের গণমাধ্যমেই তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে ঝুলে থাকা চুক্তি এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে নানা সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরের উদ্দেশ্য তিস্তা চুক্তি নয়।
বুধবার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টের পানির উচ্চতা একদিনে সর্বোচ্চ ১০ সেন্টিমিটার বাড়ে। কর্তৃপক্ষের হিসাব মতে সোমবার (২১ মে) দুপুর ১২টায় ব্যারেজ পয়েন্টের পানির উচ্চতা ছিল ৫০.৭ সেন্টিমিটার। মঙ্গলবার (২২ মে) দুপুর ১২টায় পানির উচ্চতা দেখা যায় ৫১.১০ সেন্টিমিটার।
তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পানির প্রবাহ। সম্প্রতি খরস্রোতা রূপ ধারণ করেছে এই নদী। এখন সেখানে পানির প্রবাহ প্রায় ২৩০০ কিউসেক বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, তিস্তার পানি এই হারে বাড়তে থাকলে আশেপাশের প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা পাবেন কৃষকরা। কৃষিকাজের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের অভাবে এই বছর রংপুর-দিনাজপুরের কৃষকরা এখনও জমি চাষ শুরু করতে পারেননি।
নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ব্যারেজের কয়েকটি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে তিস্তার চরাঞ্চলে।
তিস্তার পানি হঠাৎ বাড়ায় এই অঞ্চলের কৃষকদের মুখে হাসি ফুটতে দেখা যায়। তবে মিষ্টিকুমড়া, পেঁয়াজ ও রসুনের ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, এক সপ্তাহ আগেও পানি প্রবাহের মাত্রা ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ কিউসেক। সম্প্রতি তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩০০ কিউসেকে, যা পূর্বের তুলনায় প্রায় তিনগুণ। গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ এবং ভারতীয় অংশের গজলডোবা বাঁধের গেটগুলো খুলে দেওয়ায় তিস্তার পানির হঠাৎ বেড়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।