হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের বাসিন্দা মৌলভীবাজারের কুলাউড়া থানার কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলম লাপাত্তা হয়ে পড়েছেন। প্রায় ১ মাস ধরে তিনি না আছেন কর্মস্থলে, না বাড়িতে। খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা কোথাও। তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি সাধারণ ডায়রিও করা হয়েছে। কর্মস্থলে হাজির হওয়ার জন্য মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ইতিমধ্যে তাকে নোটিশও করেছেন। এদিকে তার লাপাত্তা হওয়ার পর থেকে মূর্ষে পড়েছেন তার মা-বাবাও।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম জানান, সে থানা থেকেই লাপাত্তা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি সাধারণ ডায়রি করা হয়েছে। তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজা হচ্ছে। তবে এখনও কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।
নিখোঁজ কনস্টেবল জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মো. জহিরুল হক জানান, একামাত্র ছেলে নিখোঁজের খবরে মাসহ তিনি মূর্ষে পড়েছেন। তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তিনি বিভিন্ন স্থানে খোঁজে ছেলে সন্ধান পাচ্ছেননা। ঘুরেছেন বিভিন্ন হুজুরের কাছে। অনেক তাবিজ, কবজ করেছেন। কোন কিছুতেই ফল পাননি।
পুলিশের দেয়া নোটিশ ও সাধারণ ডায়রির তথ্যমতে, শায়েস্তাগঞ্জের পশ্চিম বড়চর গ্রামের বাসিন্দা মো. জহিরুল হকের ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম কুলাউড়া থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় ১৯ মার্চ সরকারি ডিউটি শুনাতে গেলে তাকে ব্যারাকে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাও বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে খোঁজার জন্য একজন এসআই’র নেতৃত্বে ফোর্স নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তাকে কোথাও খোঁজে না পেয়ে ওই দিনই থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়। একই দিন বিকেল ৫টায় তাকে কুমিল্লা রেলওয়ে স্টেশনে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ঘুরাফেরা করতে দেখে রেলওয়ে পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় তিনি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিলে রেলওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ বিষয়টি কুলাউড়া থানায় অবহিত করেন। খবর পেয়ে কুলাউড়া থানার পুলিশ রাত আড়াইটায় কুমিল্লা রেলওয়ে ফাঁড়িতে পৌছে জানতে পারেন রাত দেড়টায় বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে তিনি পালিয়ে গেছেন। এরপর থেকে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ মার্চ আরও একটি সাধারণ ডায়রি করা হয়। ২৫ মার্চ পুলিশ সুপার নোটিশ দিয়ে তাকে কর্মস্থলে হাজির হওয়ার জন্য বলেন। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়রি করা হবে বলে জানানো হয়।
