অনন্ত বিজয় হত্যা মামলা ॥ চার্জ গঠন ফের পিছিয়েছে, মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তর

44

স্টাফ রিপোর্টার :
বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ হত্যা মামলার চার্জ গঠন শুনানী ফের পিছিয়েছে। একই সাথে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে মামলাটি অতিরিক্ত জজ আদালতে স্থানান্তরও করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী চার্জগঠনের তারিখ আগামী ৩০ মে নির্র্ধারণ করেছে আদালত।
গতকাল সোমবার আলোচিত এ মামলার চার্জ শুনানীর দিন ধার্র্য ছিল। কিন্তু আদালতে মামলার অন্যতম আসামী সফিউর রহমান ফারাবীকে হাজির না করায় চার্জ শুনানী না করে মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মফিজুর রহমান ভুঁইঞা এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পিপি এডভোকেট মফুর আলী জানান, অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্যের মধ্য দিয়ে অনন্ত হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ৯ মে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার হওয়া সাংবাদিক ইদ্রিসসহ ১০ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়। অভিযুক্ত ৬ জন হচ্ছে, কানাইঘাট উপজেলার আবুল হোসেন (২৫), খালপাড় তালবাড়ির ফয়সাল আহমদ (২৭), সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের বিরেন্দ্রনগরের (বাগলী) মামুনুর রশীদ (২৫), কানাইঘাটের পূর্ব ফালজুর গ্রামের মান্নান ইয়াইয়া ওরফে মান্নান রাহী ওরফে এবি মান্নান ইয়াইয়া ওরফে ইবনে মঈন (২৪), কানাইঘাটের ফালজুর গ্রামের আবুল খায়ের রশীদ আহমদ (২৫) ও নগরীর রিকাবী বাজার এলাকার সাফিউর রহমান ফারাবী ওরফে ফারাবী সাফিউর রহমান (৩০)। অভিযুক্ত ৬ জনের মধ্যে আবুল, ফয়সাল ও হারুন পলাতক রয়েছেন। গত বছরের ২০ জুন আদালত পলাতক তিনজনের সম্পদ ক্রোক করার নির্দেশ দেন। পরে ১৬ জুলাই অভিযোগ গঠনের কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়। এরপর ২৮ আগস্ট পাঁচজনকে আসামি করে এবং ১১ জনকে অব্যাহতির আবেদন জানিয়ে অনন্ত হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপর ১৮ অক্টোবর শুনানি শেষে আদালত পুনরায় তদন্ত শেষে সম্পূরক চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরই মধ্যে আসামী পক্ষের আইনজীবী সাফিউর রহমান ফারাবীর জামিন আবেদন করেন। তবে আদালত জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে অভিযোগ গঠনে নতুন তারিখ ধার্য হয় গতকাল সোমবার। এরই মধ্যে ৩ বছর ফেরিয়ে গেলেও এখনও চাঞ্চল্যকর এ মামলাটির বিচার শুরু হয়নি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১২ মে নগরীর সুবিদবাজারে নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত। বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি যুক্তি নামে বিজ্ঞান বিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের একদিন পর অনন্তের বড় ভাই রতেœশ্বর দাশ বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।