দিরাইয়ে আওয়ামীলীগ ও জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে মারামারি, এলাকায় উত্তেজনা

64

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে দুই শিশুর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পৌর সদরের সুজানগর গ্রামের আওয়ামীলীগ ও জামায়াত সমর্র্র্র্থতদের মধ্যে ৩ দিনে ৩ বার মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মারামারির ঘটনা সুজানগরসহ আশপাশ এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে, উভয় পক্ষ থানায় মামলা করেছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের থানা রোডের সেন মার্কেটের সামনে সুজানগরের জিলাল মিয়া চৌধুরীর ভাগিনার সাথে একই গ্রামের জামায়াত কর্মী এমরান এর চাচাত ভাইয়ের মধ্যে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই ছেলে শিশুর মাঝে হাতহাতি ও বাকবিতন্ডা হয়, বাজারের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি শালিসে শেষ করে দিলেও জামায়াত কর্মী এমরানের আত্মীয়রা দিরাই বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে জামায়াত কর্মীর বাড়ির পাশের সড়কে জিলাল মিয়া চৌধুরীর চাচা এলাকার শালিস ব্যক্তিত্ব আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, জিলাল মিয়া চৌধুরী ও তার ছেলে উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এরই জের ধরে আওয়ামীলগ সমর্থিত সোহেল কাউন্সিলর এর লোকজন মঙ্গলবার রাতে জামায়াত নেতা এমরানের চাচাত ভাই মোশাররফ ও বৃহস্পতিবার বিকেলে বোনের জামাই হারুন মিয়ার উপর হামলা করে এ ঘটনায় আহত হয়ে দুজনই সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বর্তমানে সুজানগর ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা অতঙ্কে আছেন। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুয়েল চৌধুরী বলেন, দুই ছেলে শিশুর মাঝে দিরাই বাজারে হাতাহাতিও বাকবিতন্ডা হলে গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি শেষ করে দেন, কিন্তু জামায়াতকর্মী সুজানগর গ্রামের এমরানও তার আত্মীয়রা আমাদের এলাকার শালিশ ব্যক্তিত্ব সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, ভাতিজা জিলাল চৌধুরী ও তার ছেলে দিরাই থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে জামায়াত কর্মীর বাড়ির সামনে পৌছলে জামায়াত কর্মী ও তার আত্মীয়রা তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়, তিনি আরও বলেন জামায়াত কর্মী এমরান গত পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করে জামানাত হারিয়ে নিজদল জামায়াতে কোনঠাসা হয়ে পড়েছে। এর আগে এমরান জামায়াতের একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী কে প্রাণ নাশের হুমকি দিলে উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার আতাউর রহমান তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন। পুলিশের খাতায় ওই জামায়াত কর্মী আসামি হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি, এমরানের ছোট ভাই শিবির কর্মী আবুল জামায়াতের নাশকতা মামলার আসামি হয়ে কয়েকমাস জেল খেটেছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল বলেন দুই পক্ষই মামলা করেছে, তোফায়ের ও বুলবুল নামে দুই ব্যক্তি কে আটক করা হয়েছ্,ে এলাকার পরিবেশ শান্ত।