গোলাপগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪

121

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে বাসের ধাক্কায় একজন নিহত ও সিএনজি চালকসহ চারজন আহত হয়েছেন। নিহত ও আহত চারজনই একই সিএনজির যাত্রী ছিলেন। সিএনজির চার যাত্রীদের মধ্যে তিনজন সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কদমতলী পয়েন্ট থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী অনটেস্ট সিএনজি অটোরিক্সা গোলাপগঞ্জ উপজেলার ফুলবাড়ী ইউপির কায়স্তগ্রাম নাশাগঞ্জ নামক স্থানে পৌছা মাত্র মৌলভীবাজার বড়লেখা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা মেট্রো-জ ১৪-১১৫৫ বিরতিহীন বাস অন্য একটি সিএনজি অটোরিক্সাকে অভারটেক করতে গিয়ে ওই সিএনজিতে ধাক্কা দিয়ে একটি খাদে পড়ে। বাসের ধাক্কায় দুমড়ে-মুচড়ে যায় যাত্রীবাহী ওই সিএনজিটি। পরে স্থানীয়রা সিএনজি চালকসহ যাত্রীদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আঃ ওয়াদুদকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে দ্রুত গতির যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়লেও ওই বাসের যাত্রীদের হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই বাসের চালক পালিয়ে যায়। নিহত সিএনজি যাত্রী গোলাপগঞ্জ উপজেলার রানাপিং চন্দনভাগ গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ (৩২)। তিনি সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। সেখানে তার স্ত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত সিএনজি চালক লিটন আহমদ (২০) সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার বাসিন্দা। সে দীর্ঘদিন থেকে সিলেটে বসবাস করছে। দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজির মালিক সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুছাই ইউপির আব্দুছ সামাদ জানিয়েছেন তার সিএনজি চালকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অনেক রক্ত লাগবে। সকাল ১০টায় খবর পেয়ে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং সিএনজি ও বাস থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,রাত ৯টা পর্যন্ত ১জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহত সিএনজি চালকের জ্ঞান ফিরেনি এবং অন্যান্য আহতদের সঠিক কোন নাম ঠিকানাও পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসা এসআই হেলালের মোবাইলে একাদিকবার কল দিলে তিনি রিসিব করেননি।