দেড় বছরে ৫টি হত্যাকান্ড ॥ কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউ.পিতে অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বৃদ্ধি

38

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নে হত্যাকান্ড সহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বেড়েই চলছে। জমি-জমা নিয়ে বিরোধ, চোরা-চালানী তৎপরতা, নারী গঠিত কেলেঙ্কারী ও ফৌজদারী মূলক অপরাধের মতো ঘটনা উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটেছে লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউ.পিতে। লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউ.পির সীমান্তবর্তী এলাকায় নাশকতামূলক তৎপরতা, চোরাচালান ও অপরাধ মূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে বর্ডারগার্ড বিজিবি ও বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনী ও থানা পুলিশ সদা তৎপর থাকলেও মাঝে মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে বিষ্ফোরক ও মাদক দ্রব্য প্রবেশ ও চোরা চালানসহ অপরাধ মূলক কর্মকান্ড সংগঠিত হয়ে থাকে। গত দেড় বছরে সীমান্তবর্তী লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ইউ.পিতে অন্তত ৫টি হত্যাকান্ড সহ একাধিক অপরাধ মূলক কর্মকান্ড সংগঠিত হয়েছে। বিশেষ করে হত্যাকান্ডের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে একধরনের আতঙ্ক পরিবেশ বিরাজ করছে। গত দেড় বছরে একজন নারীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২০১৮ সালের চলতি মাসের ২৬ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিরোধ মিমাংসা করতে গিয়ে ছুরিঘাতে নিহত হন মধ্যস্থতাকারী কালিনগর আগফৌদ গ্রামের সাবেক গ্রিস প্রবাসী মুরব্বি ফারুক আহমদ (৫০)। ২০১৮ইং সনের ১৮ ফেব্রুয়ারী সীমান্তবর্তী সোনাতন পুঞ্জি গ্রামে স্বামী রিক্সা চালক ইব্রাহিম আলী উরফে ইমনের হাতে নির্মমভাবে খুন হন তার স্ত্রী জাহানারা বেগম। স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় জাহানারা কে হত্যা করা হয়। ২০১৭ইং সনের ২৬ ডিসেম্বর নারী ঘটিত কেলেঙ্ককারী ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সোনাতন পুঞ্জি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিনের পুত্র পেশায় ভাড়ায় চালিত মোটরবাইক চালক রুবেল আহমদ (২৫) কে রাতের আধারে কূপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। এ বছরের ৩১ জুলাই সুরইঘাট বাজারে মাত্র ৩শ টাকা পাওনার জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন কালীনগর আগফৌদ গ্রামের মন্তাজ আলীর পুত্র পাথর শ্রমিক হারুন আহমদ এবং ২৩ জুন প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে উত্তর লক্ষ্মীপ্রসাদ গ্রামের হাবিবুর রহমানকে প্রকাশ্যে গ্রামের রাস্তায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কূপিয়ে হত্যা করে তার প্রেমিকা সুরমা বেগম স্বজনরা। প্রতিটি হত্যাকান্ড ধারালো অস্ত্র দিয়ে কূপিয়ে নির্মম ভাবে করা হয়েছে। হত্যাকান্ডের মতো অপরাধ মূলক কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়ায় সচেতন মহল সামাজিক ও পারিবারিক অবক্ষয়বোধকে দায়ী করেছেন। তাদের অভিমত মানুষের মধ্যে চাওয়া ও পাওয়ার মানষিকতা তৈরী এবং হিংসা বিদ্ধেষের মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় হত্যাকান্ডসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক তৎপরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সামজিক ব্যবস্থা দিন দিন ভেঙ্গে পড়ায় সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আজ অশান্তি বিরাজ করছে।