কারাগারে সাক্ষাৎ করে এসে মির্জা ফখরুল ॥ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় প্যারালাইসিসের মতো হয়ে যেতে পারে

54

কাজিরবাজার ডেস্ক :
কারাগারে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য অত্যন্ত খারাপ দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘মেডিকেল বোর্ডের সাজেস্ট করা ওষুধগুলো এখন আর কাজ করছে না।’
শনিবার বিকালে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কারাফটকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও নজরুল ইসলাম খান।
প্রায় এক ঘণ্টা ১০ মিনিট অবস্থান করে পাঁচটার দিকে তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন।
ফখরুল বলেন, ‘আজ আমরা বেগম জিয়াকে যে রকম দেখেছি, তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তার স্বাস্থ্যের অবস্থা আসলেই অত্যন্ত খারাপ। হাসপাতালে রেখে তার আশু চিকিৎসা প্রয়োজন। তার পছন্দ ইউনাইটেড হাসপাতাল।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন- তার বাম হাত শক্ত হয়ে যাচ্ছে, বাম হাতের ওজনও বেড়ে গেছে। বাম পা থেকে শুরু করে শরীরের বাম পাশের ব্যাথা বেড়ে গেছে। সাধারণভাবে হাঁটা-চলা করাও মুশকিল হয়ে পড়েছে।’
ফখরুল বলেন, ‘দুপুরে ডাক্তাররাও বলেছেন এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় তার প্যারালাইসিসের মতো হয়ে যেতে পারে। তার ডান চোখ লাল হয়ে গেছে। ডাক্তাররা আজও বলেছেন, তার যে অসুখ, এটা বেড়ে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’বেগম জিয়ার ডান চোখ লাল হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন ফখরুল।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন যে হাসপাতালে যেতে চেয়েছেন, সেখানে রেখে তাকে বিশেষভাবে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করুন। এটা সরকারের দায়িত্ব।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক ক্ষতি হলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের গঠন করা মেডিকেল বোর্ডের সাজেস্ট করা আগের ওষুধগুলো আর কাজ করছে না। এসব ওষুধে তার ব্যথা কমছে না।’
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য নেতাকর্মীদের সাহসের সঙ্গে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বলেছেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি স্বাস্থ্যের কথাই জিজ্ঞাসা করেছি। স্বাস্থ্যের কথাই তিনি বলেছেন। তিনি ঠিকমতো খেতে পারছেন কি না, তার পরিবেশটা পরিবর্তন করা প্রয়োজন, এসব নিয়েই কথা হয়েছে। এই পরিবেশে অসুস্থ লোক সুস্থ হতে পারে না।’