জগন্নাথপুর পৌরসভার সামনের বেহাল সড়কে কাজ শুরু, জনমনে স্বস্তি

27

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুর পৌরসভার সামনে থাকা ভাঙাচোরা বেহাল সড়কে অবশেষে সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সড়কে কাজ শুরু হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
২১ এপ্রিল শনিবার সরজমিনে দেখা যায়, সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের উদ্যোগে সড়কের পাশে থাকা ড্রেন খনন করে গর্তে মাটি ভরাটের কাজ হচ্ছে। সড়কে কাজ হচ্ছে দেখে জগন্নাথপুর বাজারের ব্যবসায়ীসহ ভুক্তভোগী জনতার মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করতে দেখা যায়।
এ সময় সড়কের কাজ পাওয়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড এর সাইড সুপার ভাইজার মো. রনি মিয়া বলেন, জগন্নাথপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের জগন্নাথপুর থেকে ডাবর পর্যন্ত ৯১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২২ কিলোমিটার সড়কের সংস্কার কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। এর মধ্যে জগন্নাথপুর পৌর শহরের ভেতরে দেড় কিলোমিটার ভাঙাচোরা সড়কে আরসিসি কাজ হবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামি ১৫ দিনের মধ্যে জগন্নাথপুর পৌর সদরের প্রধান সড়কের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এ ব্যাপারে ছাদ মিয়া, আবুল হোসেন সহ ভুক্তভোগী পথচারীরা বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও সড়কে কাজ শুরু হওয়ায় আমরা আনন্দিত। তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সড়কের কাজ শেষ করার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি শাহ নিজামুল করিম বলেন, সড়কে কাজ শুরু হওয়াতে আমরা খুশি। তবে মান সম্পন্ন কাজ করার আহবান জানাচ্ছি।
জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আবদুল মনাফ বলেন, অবশেষে সড়কের মালিক পাওয়া গেছে এবং কাজ শুরু হওয়াতে পৌরবাসীসহ সর্বস্তরের জনতা খুশি হয়েছেন। বর্তমানে এ সড়কটি আরো বড় হবে। এ জন্য জনস্বার্থে সড়কের পাশে থাকা জায়গা ছেড়ে দিতে তিনি মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর পৌর সদরের পৌর পয়েন্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধা ভবনের সামন পর্যন্ত ভাঙাচোরা সড়কের গর্তে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়া পৌর পয়েন্ট থেকে রাণীগঞ্জ রোডের হবিবনগর গ্রাম পর্যন্ত সড়কটি করুন দশায় পরিণত হয়। এ দুই সড়কের মাত্র এক হাজার ফুট সড়কের বেহাল দশার কারণে জন ভোগান্তির শেষ নেই। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বারবার শিরোনাম হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। সর্বশেষ গত ১১ ও ১২ এপ্রিল “জগন্নাথপুরে পানির নিচে সড়ক, কানে তুলো ও চোখে কালো চশমা পড়ে আছে কর্তৃপক্ষ” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙ্গে এবং সংবাদ প্রকাশের কয়েক দিনের মধ্যে সড়কে কাজ শুরু হয়।