নিখোঁজের ৩ দিন পর ঘাসিটুলায় গাভিয়ার খাল থেকে শ্রমিকের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার

40

স্টাফ রিপোর্টার :
নিখোঁজের তিন দিন পর নগরীর ঘাসিটুলার গাভিয়ার খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় সোহাগ মিয়া (১৮) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত সোহাগ বগুড়া জেলার জোকগাড়ি পূর্ব পাড়া গ্রামের আশরাফ মিয়ার পুত্র। বর্তমানে তারা নগরীর ঘাসিটুলাস্থ মজুমদার পাড়ার ময়না মিয়ার কলোনীতে বসবাস করে আসছে। পুলিশ ধারণা করছে, হত্যাকারীরা সোহাগের সহপাঠী হতে পারে। কোন একটি ঘটনার বিরোধের জের ধরেই এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৩ এপ্রিল থেকে সোহাগের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তার স্বজনরা। সোমবার সকালে স্থানীয় শিশু-কিশোররা এলজিইডি অফিসের পাশে ক্রিকেট খেলছিলো। একপর্যায়ে বল গিয়ে ওই খালের পাশে পড়ে। এ সময় বল কুঁড়িয়ে আনতে গিয়ে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পায় তারা। স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। লাশের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহৃ রয়েছে। পুলিশের ধারনা সোহাগকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে। কি কারণে এবং কারা তাকে হত্যা করেছে বিষটি তদন্ত করছে পুলিশ।
নিহতের পিতা আশরাফ মিয়া ও মা ফুলবানু জানান, সোহাগ কাজিরবাজার মাছের আড়তে কাজ করত। গত শুক্রবার ১৩ এপ্রিল রাতে সে বৈশাখীর কাপড় কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হলে সে আর বাসায় ফিরেনি। পরে বিভিন্নস্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোন সন্ধান পাননি তারা। গতকাল সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খবর পেয়ে গাভিয়ার খালে গিয়ে ছেলের লাশ শনাক্ত করি। তিনি আরও জানান- দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সোহাগ ছিলে দ্বিতীয়। তার আয় দিয়েই কোনভাবে সংসার চলত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গৌছুল হোসেন জানান- প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার সহপাঠিরাই তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে রাতের আঁধারে লাশ বস্তা বন্দি করে খালের মাঝে ফেলে যায়। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এটি খুবই গুরুতর। ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে। তিনি আরও জানান, পুলিশ বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বিভূতি ভূষণ ব্যানার্জ্জী জানান, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে বস্তাবন্দি লাশের খবর পেয়ে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। এসময় পরিবারের লোকজন সোহাগের লাশ সনাক্ত করেন। লাশের গলা, হাতে ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।