ঝড়ের কবলে পড়ে অবশেষে ॥ যুবলীগ নেতা মুসা মারা গেছেন, মোহাম্মদ মকন স্কুল ও কলেজে জানাযা সম্পন্ন

41

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোসাদ্দেক হোসেন মুসার জানাযা গতকাল শনিবার রাত ৯টায় কামালগঞ্জস্থ মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে নামাজের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাযা শেষে গোপশহর গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে অশ্রসিক্ত নয়নে শেষ বিদায় জানান সহকর্মীরা। তার জানাযায় অংশ নেন সিলেট আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এ তথ্য জানিয়ে মুসার রাজনৈতিক সহকর্মী সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এম. রশীদ আহমদ বলেন, শনিবার বাদ এশা মোহাম্মদ মকন উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জানাযা শেষে তাকে তার গ্রামের বাড়ীতে দাফন করা হবে। তিনি আরো বলেন, বিকেল ৪টা নাগাত তার মরদেহ নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছায়। এর আগে তিনি শনিবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে রাজধানী ঢাকার মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। নিহত মোসাদ্দেক হোসেন মুসা (৩৫) দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ১নং মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের মরহুম হাজী মো: মৌলুল হোসেনের ছেলে। মুসার ৯ ভাই ও ৩ বোনের মধ্যে মুসা ৮ নম্বর ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৯ মার্চগত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আকস্মিক কালবৈশাখী ঝড়ের সময় মুসা দক্ষিণ সুরমা থেকে কাজির বাজার সেতু হয়ে নগরীর রিকাবীবাজারে আসছিলেন। এ সময় শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের সময় একটি চটপটির গাড়ি মোটর সাইকেলের উপর এসে আছড়ে পড়ে। এ সময় তিনি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যান। ওসমানীতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলেও রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না। পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়ার জন্য বলেন। ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে সিট খালি না থাকায় তাকে নগরীর সোবহানীঘাট ওয়েসিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে ৩০ মার্চ শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে একটি এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে একরাত চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৭ টায় দিকে তিনি মারা যান। পরে মোসাদ্দেক হোসেন মুসার মরদেহ নিয়ে স্বজনরা ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তার স্বজনরা জানান- দুর্ঘটনায় মুছার মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে তিনি মারা যান।