ছাতকে কালবৈশাখীতে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড, আহত ১০

24

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে দফায় দফায় কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড সহ অন্তত-১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৩০মার্চ) বিকালে ও সন্ধ্যায় দুই দফা শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার সবকটি গ্রামে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। এতে বিভিন্ন স্থানে কাচা ও আধাপাকা ঘরের চাল উড়ে গেছে, আবার কোথাও ভেঙে পড়েছে পুরো ঘর।
এছাড়া ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে পুরো উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
জানা যায়, উপজেলার কালারুকা, ছাতক সদর, নোয়ারাই, ইসলামপুর, চরমহল্লা, ভাতগাও, খুরমা উত্তর, খুরমা দক্ষিণ, জাউয়া বাজার, সিংচাপইড়, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাও, ছৈলা আফজালাবাদ, দোলারবাজার ইউনিয়ন সহ প্রায় সবকটি গ্রামে দফায় দফায় তুফানের তান্ডবে প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড সহ, বাতাসে উড়িয়ে নেওয়া টিনের খোঁজে বেড়িয়ে গাছ ভেঙ্গে ও টিনের আগাতে আসকর আলী, ছোয়াব আলী, রেজা মিয়া, আতিকুর রহমানসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছেন।
এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়েন সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ মুহিবুর রহমান মানিক, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতীক ও ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছির উল্লাহ খান তারা ছাতকের সাউথ ওয়েস্ট সালেহ আহমদ স্কুল এন্ড কলেজের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভবন উদ্বোধনে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হঠাৎ ঝড়ের আক্রমণে সব আয়োজন পন্ড হয়ে যায়।
এব্যাপারে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সচিব পীর মোহাম্মদ আলী মিলন জানান, ঝড়ের তান্ডবে বেশ কয়েক স্থানে বৈদেশিক তারের উপর গাছের ডালপালা পড়েছে শীঘ্রই এগুলো সরিয়ে বিদুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করা হবে।
ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাছির উল্লাহ খান জানান, ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।