বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে সিলেট ভ্যালীর ২২টি চা বাগান শ্রমিকদের প্রতিবাদ সভা ও মিছিল

116

বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সিলেট ভ্যালীর ২২টি চা বাগানে শ্রমিকদের উদ্যোগে মালনীছড়া চা বাগানের নাট মন্ডপে রবিবার সকাল ১১টায় এক প্রতিবাদ সভা এবং পৃথকভাবে বিমানবন্দর রাস্তায় একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে মালনী ছড়ায় এসে সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালী কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালার সভাপতিত্বে ও পঞ্চায়েত সভাপতি জিতেন সবর এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী, রমেশ মুন্ডা, কৃপেশ বুনার্জী, শিতু লোহার, মিন্টু দাস, লিটন গোয়ালা, নিরঞ্জন গোয়ালা, ধরনী দাস। এছাড়া অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য রণ বাহাদুর জোটে, নিরঞ্জন গোয়ালা, অরুণ বাউরী, নিখিল কুমার দাস, মদন গঞ্জু, দিলীপ রঞ্জন কুর্মী, শ্যামল চৈত্রী, কল্প কালুয়ার, রতি লাল কালুয়ার, অন্ন দা বারেক, শ্যামলী গোয়ালাসহ বিপুল সংখ্যক শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা ও মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৪ মাসে চা শ্রমিকের মজুরী চুক্তি সম্পাদিত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মালিক পক্ষ চুক্তি সম্পাদনে চরম গড়মসি করছেন। দীর্ঘ ১৪ মাসে ন্যায্য মজুরী অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদানে গাফিলাতি করছেন ফলে শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা তৈরী হয়েছে। আগামী ২১ দিনের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন না হলে শ্রমিকরা কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবে এবং এর দায়দায়িত্ব মালিক পক্ষকে বহন করতে হবে।
এসময় সভা থেকে ৫টি দাবি প্রাধান্য দিয়ে প্রকাশ করা হয়। অবিলম্বে ২০ দফা চুক্তি বাস্তবায়ন, চা শ্রমিকদের গ্র্যাজুয়েটি প্রদান, প্রতিটি চা বাগানে এম্বুলেন্স ও এমবিবিএস ডাক্তার প্রদান, সময় মোতাবেক ৫% লভ্যাংশ, গ্র“প বিমা চালু।
এদিকে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মোমিনছড়া চা বাগান বিগত ৬ দিন থেকে বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা অনাহারে অর্ধাহারে দিনযাপন করছেন। তাই বাগান শ্রমিকদের কর্মস্থল খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা রোববার বাগান এলাকায় প্রতিবাদ সভা করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সভাপতি কার্তিক নায়েক, রাজ কুমার, সজল মিরদা, সয়ন্তী মিরদা, নমিতা সিজান, চাম্পা, আলো মনি, ফুল কুমারী, নমিতা, মিরা, সুমিত্রা, বানু, বাসন্তীসহ বাগানের সর্বস্তরের চা শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।