কানাইঘাটে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও ট্রান্সফরমার অপসারণ করতে গিয়ে পল্লীবিদ্যুতের পরিচালক শ্রীঘরে

19

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিস-২ এর এরিয়া পরিচালক মোঃ আলমগীর হোসেন অবৈধ ভাবে পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের নিকটবর্তী একটি বহুতলা ভবনে বিদ্যুতের খুঁটি হস্তান্তর করতে গিয়ে অবৈধ ভাবে ট্রান্সফরমার অপসারণের ঘটনায় রবিবার সন্ধ্যায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পরিচালক আলামগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে ট্রান্সফরমার নামানোসহ কিছু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ মেইন লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন করে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের অগোসরে বিদ্যুতের খুঁটি হস্তান্তরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ১৯১০ এর ৪০-ক ধারায় বিদ্যুৎ আইনে অবৈধ ভাবে অসাধু উপায়ে বিদ্যুৎ লাইনের পুল ও ট্রান্সফরমার অপসারণ ও বিনষ্ট করার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা এজিএম আব্দুল হক বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় গত রবিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন। জানা যায় এরিয়া পরিচালক আলমগীর হোসেন বিদ্যুৎ অফিস সংলগ্ন রায়গড় গ্রামের যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নজমুল ইসলামের বহুতলা বাসভবনের ভিতরের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি অনত্র হস্তান্তর করার জন্য প্রায় ২৮ হাজার টাকা নেন। উক্ত টাকা নেওয়ার পর গত রবিবার সকাল ৯টায় পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের একজন কর্মকর্তা ও ৩ জন লাইনম্যানের সহযোগিতায় অফিসের ডিজিএমের অগোচরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঐ দিন রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ট্রান্সফরমার মাটিতে নামিয়ে একটি এলাকাকে অন্ধকারে রেখে খুঁটির কাজ করেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে আলমগীর হোসেন কে আটক করে রাখেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ সংবাদ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানার পর রাত ১০টার দিকে থানায় ছুটে আছেন এবং আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। গ্রেফতারকৃত আলমগীর কে গতকাল সোমবার পুলিশ আদালতে সোপর্দ করেছে। মামলায় আরো ৩ জনকে আসামী করা হলে তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত নয় বলে জানা গেছে। আলমগীর হোসেন এদের খুঁটির মাটি সরানোর জন্য দিনমজুরীর জন্য আনে। পল্লীবিদ্যুৎ কানাইঘাট অফিসের কয়েকজন এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকলেও তাদেরকে মামলায় আসামী করা হয়নি বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তবে পল্লীবিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। বিদ্যুৎ অফিসের কোন কর্মকর্তা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।