দোয়ারাবাজারে সড়কে বড় ভাঙ্গা বাদ দিয়ে অ-প্রয়োজনীয় বাঁধ দেয়া হচ্ছে কাজের চেয়ে বরাদ্দ বেশী

52

দোয়ারাবাজার থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় ফসল রক্ষা বাঁধের নামে অ-প্রয়োজনীয় বাঁধ দেয়া হচ্ছে বরাদ্দ কাজের চেয়ে বেশী। রাবারড্যামের পাশে প্রায় একশত মিটার ভাঙ্গন রেখে উপরের অংশে বোরো ফসলের কোন রকম উপকারে আসবে না এই বাঁধে। সুরমা ইউনিয়নের রাবারড্যামের ভাঙ্গনের উত্তর সীমানা থেকে প্রায় দের কিলোমিটার বাদ দিয়ে উপরের দুই কিলোমিটার বাঁধের কাজ করা হচ্ছে। কাজ হচ্ছে পি-আইসি নিজেই জানেন না তার বাঁধের কাজের বরাদ্দের পরিমাণ কত। খাসিয়ামারা খাল বাম তীরে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কাজ নিয়ন্ত্রণ করছে পর্দার আড়ালের লোকজন। আর পি আইসিতে অন্যান্য সদস্যরা জানে না তাদের নাম পি আইসি তালিকায় আছে কিনা। কাজ প্রায় শেষের দিকে বাজারে লোক মুখে সমালোচনায় জানতে পারেন তার নাম পি-আইসি তালিকায় রয়েছে। খাসিয়ামারা খাল রাবারডাম্প টিলাগাঁও পানি ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আনফর আলী নিজেই জানেন না তার নাম পি আইসিতে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে।
আনফর আলী বলেন, কাজের শেষ দিকে লক্ষ্মীপুর বাজারে লোক মুখে জানতে পারি আমার নাম ১১৩নং পি আইসিতে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে। ইউপি সদস্য আব্দুল হাই, পি আইসির সভাপতিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন বরাদ্দের পরিমান কত তিনি নিজেই জানেননা। পি আইসি কমিটি গঠন করার পর আমাদের নিয়া সভা করার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কাজ শেষ করা হোক পরে সব কিছু জানাব। আনফর আলী আরো বলেন, খাসিয়ামারার যে অংশে কাজ করা হচ্ছে এখানে বাঁধের প্রয়োজন ছিল না। রাবারড্যামের পাশে প্রায় একশত মিটার ভাঙ্গন রয়েছে। গত দুই বছর যাবৎ ভাঙ্গন থাকার কারণে আমাদের এলাকার কোন বোরো ফসল রক্ষা করা যাচ্ছে না। এত বড় ভাঙ্গন থাকার পর ভাঙ্গন এলাকা থেকে প্রায় দের কিলোমিটার বাদ দিয়ে উপরের অংশে দুই কিলোমিটার প্রয়োজন ছাড়া কাজ করা হচ্ছে কার স্বার্থে কাজ করা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
এ ব্যাপারে জানতে খাসিয়ামারা খাল বাম তীর পোল্ডার নং ১১৩ এর সভাপতি লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য জিরারগাঁও গ্রামের আব্দুল হাই বলেন বরাদ্দের পরিমাণ চেয়ারম্যান সাব আমাকে বলেছেন ২৩ লখ টাকা, আমি পুরোটা জানিনা। মোবাইল ফোনে প্রতিবেদককে বলেন, আমি আপনাকে পরে যানাইতেছি। আমাকে কোন দিন ইঞ্জিনিয়ার সাব বলেন নাই এখানে বরাদ্দ কত টাকা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, রাবারড্যামে যে ভাঙ্গন রয়েছে সেই কাজ করবে এলজিইডি। আমরা উপরের অংশে কাজ করছি দুই কিলো মিটার বাকি ভাঙ্গন অংশে এলজিইডি কাজ করলে পুরোটা বাঁধ সম্পূর্ণ হবে।
রাবারড্যামের পাশে বড় ভাঙ্গন রেখে কাজ করা হচ্ছে, এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন বড় ভাঙ্গনের জন্য আমরা প্রস্তাবনা পাঠিয়েছিলাম এই বাঁধের বরাদ্দ আসেনাই। আর এই এলাকা আমাদের এলাইনম্যান্টে নাই।