ইউএনওর হস্তক্ষেপে ॥ কমলগঞ্জে বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী

20

কমলগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে শমসেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ গ্রামে নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীর সাথে আলীনগর ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের দুবাই প্রবাসী ছেলের বিয়ের দিন ছিল সোমবার (৫ মার্চ)। এ জন্য বাড়ি ঘর সাজানো থেকে শুরু করে কনের বাড়িতে বিয়ের তোরণও নির্মাণ করা হয়েছিল। ঘটনাটি শুনে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থানার ওসিকে নিয়ে আকস্মিক অভিযান চালালে বাল্য বিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল ছাত্রীটি।
ছাত্রী বড়চেগ গ্রামের ইসমাইল মিয়ার মেয়ে (তানজিমা আক্তার ইমা)। সে শমসেরনগর হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর মানবিক শাখায় পড়ে। বর আলীনগর ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের রেনু মিয়ার ছেলে দুবাই প্রবাসী সানুর মিয়া (২৬)। দুই পরিবারের আলোচনায় সোমবার বিয়ের দিন ধার্য করা হয়েছিল ৫ মার্চ সোমবার।
কনে স্কুল ছাত্রী বলে বিয়েতে কোন ঝামেলা যাতে না হয় সে জন্য নতুন করে তার একটি জন্ম নিবন্ধন বানানো হয় জন্ম ২০০১ সাল উল্লেখ করে। অথচ বিদ্যালয় রেজিষ্ট্রার অনুযায়ী দেখা যায় ৩ জুলাই ২০০৩ সালে তার জন্ম। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ও কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: মোত্তাদির হোসেন পিপিএম সোমবার দুপুরে বড়চেগ গ্রামে অভিযান চালান। অভিযানকালে কনে নবম শ্রেণির ছাত্রী ও জন্ম নিবন্ধন সঠিক নয় বিধায় এ বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা বন্ধ করে কনের (ছাত্রীর) বাবা ইসমাইল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। ইউএনওর অভিযান শুনে বরপক্ষও আর বরযাত্রী নিয়ে আসেনি।
কমলগঞ্জ থানার ওসি মো: মোক্তাদির হোসেন পিপিএম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসলেই কনে স্কুল ছাত্রী। তাই নির্বাহী কর্মকর্তা তার বাবা ইসমাইল মিয়াকে আটক করে থানায় রেখেছেনে। নির্বাহী কর্মকর্তা জরুরী ভিত্তিতে একটি সরকারী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় এখনও পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত দিতে পারেননি বলে ছাত্রীর বাবা এখনও থানা হাজতে আছে।
সোমবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।