ওসমানীনগরে অগ্নিকান্ডে ২৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত, ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা

39

ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে অগ্নিকান্ডে সরকারী স্থাপনাসহ ২৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত হয়েছে। মঙ্গলবার দিনগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার তাজপুর বাজারের সবজি গলিতে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে পাশাপাশি থাকা সবজি দোকান ও মুদির দোকানঘরগুলো পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাজার এলাকা সংলগ্ন ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দারা বাজারে ছুটে আসেন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও আগুনের লেলিহান শিখায় দোকানঘরগুলোসহ সরকারী স্থাপনার অনেকটা পুড়ে মাটির সাথে মিশে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সরকারী স্থাপনাসহ ভস্মীভূত দোকানগুলোর প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বুধবার সকালের দিকে তাজপুর বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের একটি তালিকা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। আগুনে ২৩ টি ছোট-বড় দোকানের মালামালসহ ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অগ্নিকান্ডে সবজি গলি সংলগ্ন মাছের গলিতে সরকারী অর্থায়নে নির্মিত শেড পুড়ে গিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়েছে।
তাজপুর বাজারের ব্যবসায়ী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক চঞ্চল পাল জানান, গভীর রাতে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হওয়ায় তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও আমরা স্থানীয় লোকজন অনেক চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করি কিন্তু ইতিমধ্যে সব শেষ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়ে একটি তালিকা প্রণয়ন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নিকট প্রেরণ করেছি। জরুরী ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থায় এগিয়ে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খালেক আহমদ খুকো বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পাই দোকানে থাকা মালামালসহ প্রায় ২৩টি দোকানঘর এবং মাছ গলির স্থাপনা পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ফায়ার সাভির্সের কর্মীদের সাথে থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও এতে ব্যবসায়ীদের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫ হাজার টাকা করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
বালাগঞ্জ (তাজপুর) ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ ফজলুল হক ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সাকির্ট থেকে এই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়। আগুনে দোকানে থাকা মালামালসহ ২৩ টি দোকানঘর ও মাছ গলিতে নির্মিত শেড পুড়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করেছি।