ছাত্রদল নেতা শিমু হত্যায় কাজী মেরাজসহ ৩ আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

38

স্টাফ রিপোর্টার :
ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় নিহত মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত শিমু (৩২) খুনের ঘটনায় মদন মোহন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সভাপতি কাজী মেরাজসহ ৩ আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বুধবার দুপুরে সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: সাইফুজ্জামান হিরো রিমান্ড শুনানী শেষে তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডকৃতরা হচ্ছে- কাজী মেরাজ, ইমাদ উদ্দিন ইমাদ ও দেওয়ান আরাফাত জাকির।
এর আগে গত মঙ্গলবার মামলার আইও কোতোয়ালী থানার এসআই বেনু চন্দ্র দেব ওই ৩ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানান। এ খুনের ঘটনায় মোট ৪ আসামী কারাগারে ছিল। এর মধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। আর অন্য ৩ জন গত সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। গত সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে শিমু হত্যা মামলার আসামীদের মধ্যে মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মেরাজ, ইমাদ উদ্দিন ইমাদ ও দেওয়ান জাকির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বেনু চন্দ্র দেব।
তিনি জানান, আসামীদের গ্রেফতারে আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা পালিয়ে ছিল। সোমবার নিজেরাই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন। পুলিশ আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করেছে। মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড প্রার্থনার আবেদন করা হয়। গতকাল বুধবার তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তিনি জানান, গত ২৩ জানুয়ারি এ খুনের ঘটনায় নগরীর আম্বরখানা এলাকা থেকে সুনামগঞ্জ জেলার আসামপুর এলাকার ফয়ছল আহমদের পুত্র রোমান আহমদকে (২৮) গ্রেফতার করেছিল কোতোয়ালি থানা পুলিশ। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি নগরীর কোর্ট পয়েন্টে প্রকাশ্য দিবালোকে নিজ দলের সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন ছাত্রদল নেতা আবুল হাসনাত শিমু। পরের দিন দুই দফা জানাজার শেষে বাদ এশা শিমুর মরদেহ হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। হত্যাকান্ডের পর ৩ জানুয়ারি রাতে শিমু হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা (নং-০৭(০১)১৮) দায়ের করা হয়েছিল। শিমুর মামা তারেক আহমদ লস্কর বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী মহানগর ছাত্রদল নেতা নাবিল রাজা চৌধুরী উরফে নাবিন চৌধুরীকে। ২ নম্বর আসামী করা হয় মদন মোহন কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী মেরাজকে। এছাড়াও আসামী তালিকাতে নাম রয়েছে ছাত্রদল কর্মী মিজানুর রহমান সুজন, জাহেদ আহমদ, দেওয়ান আরাফাত জাকির, ইমাদ উদ্দিন ইমাদ, নাহিয়ান রিপন, তুষারসহ কয়েকজন। অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরো ৬/৭ জনের নাম রয়েছে।