কালের আগুনে পুড়ে ফাগুন

28

এ কে এম আব্দুল্লাহ

ফাগুন দেখব প্রভাতের বুকে রাখি নাঙা পা
আর পিতার শক্ত হাড্ডিতে ভর করে দেখি পলাশের হাসি।
মায়ের আঁচলে বাঁধা ছিল যে লালসূর্য।
এখন ইট-সুরকির দেওয়াল ভেদ করে ভিতরে ঝরে তার টুকরো টুকরো বিম্ব।
বাবার রক্তেভুনা শব্দপাতিলে কারা যেন ঢেলে দেয় অসংস্কৃতির ভাড়ার,
আর আমাদের রান্নাঘরের চিমনিতে উড়ে বিজাতি ধোঁয়া।
শয়নকক্ষে হৃদয় ভাঙে নিদানি সংগীত।

আমরা বধির হই। আমাদের চোখে সমস্যা হয়।
অনেক কিছুই দেখতে পারি না।
চোখ থেকে বের হয়ে আসেনা পিতা রক্ত।
মায়ের আঁচল পোড়ায় রোমিও আগুন।
আর আমাদের ঠোঁটে ফোটে ভিনদেশি হাসি।
পূর্বপুরুষের বেরিয়ে আসে তার ব্যাকুল আত্মা।

আমরা সেই আত্মা এখন মুখবইয়ে জড়িয়ে ধরি নিজস্বীর ভিতর।